বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য উদঘাটনে এবার ১৮ হাজার মানুষ!


অনলাইন ডেস্ক: পৃথিবীর বুকে এক অজানা রহস্য ঘেরা স্থানের নাম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। এই ট্রায়াঙ্গেল শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত। এটি আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল।

এই বিশেষ অঞ্চলে কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও মেলেনি এই রহস্যের সমাধান। আর এই রহস্য ঘেরা অঞ্চলটিতে এবার যেতে চান প্রায় ১৮ হাজার মানুষ।
সেই সঙ্গে হাঁটতে চান যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এরিয়া ফিফটি ওয়ান নামের বিশেষ আঞ্চলটিতেও। 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে যেতে প্রাঙ্কস্টার এনথনি কারনোবেল নামের এক ব্যক্তি একটি ইভেন্টের আয়োজন করেছেন। তিনি হাজার হাজার মানুষকে আহ্বান জানান তার ওই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে।

সেখানে তিনি লিখেন, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল জাহাজ গিলে ফেললেও আমাদের সবাইকে গিলে ফেলতে পারবে না। এই ইভেন্টি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেন। ইতোমধ্যে এই ইভেন্টে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ যাওয়ার জন্য সাইনআপ করেছেন।

কারনোবেল নামের ওই ব্যক্তি জানান, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য উন্মোচনের জন্য তিনি অনেক চিন্তিত। সেই সঙ্গে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে যেতে তিনি গুরত্বপূর্ণভাবে চিন্তা করছেন।

এই ইভেন্টি বাস্তবায়ন করতে গোফান্ডমি নামের একটি ওয়েব পেজে তহবিল দান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কারনোবেল। সেই পেজে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ জানিয়েছেন এই ইভেন্টে যেতে চান।

কারনোবেল জানান, তিনি ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার অর্থ সংগ্রহ করতে চান। সেই অর্থ দিয়ে তিনি জাহাজ এবং স্কুবা গিয়ার প্রদান করতে চান ভ্রমণকারীদের। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে সফল অভিযানের পরে একটি পার্টিও করতে চান তিনি।

কারনোবেল বলেন, আমি যে অর্থ এই ইভেন্টের আয়োজনের জন্য সংগ্রহ করব তা শুধুমাত্র এই অভিযানে খরচ করব। যদি কোনোভাবে অভিযানে যেতে না পারি তাহালে সবাইকে তাদের অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে এই ইভেন্টিকে অনেকেই ভুয়া বলে দাবি করছেন। অনেকেই বলছেন এই ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে নিছক মজা করার জন্যই।

চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এটিকে এক ধরনের তামাশার অভিযান হিসেবে অবিহিত করেছে। সেই সঙ্গে তারা অংশগ্রহণকারীদের সতর্কও করে দেয় এই আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ না করতে। তারা জানায়, এই এলাকায় অবৈধভাবে প্রবশে করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে নিরুৎসাহিত করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের মরু এলাকার মাঝখানে এরিয়া ফিফটি ওয়ান এর অবস্থান। এটি বাইরে থেকে দেখতে খুবই সাদামাটা। দেখা যাবে, প্রবেশ পথে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু বাস্তবে পুরোটাই রয়েছে কড়া নজরদারির মধ্যে। সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিমানের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ হতো। আরও হতো বোমা ও অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ। তবে সেখানকার কর্মকাণ্ড কারও জানা নেই। আর সেই স্থানেও যেতে চান কারনোবেল ও তার অভিযান সঙ্গীরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post