বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়বে না বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক: বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ নেওয়া হলেও বাংলাদেশ বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়বে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, শ্রীলঙ্কা বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়েছে। বাংলাদেশেও বিদেশি ঋণে বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে। আপনি কি মনে করেন, এ ঋণ একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য ফাঁদ হতে পারে?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ১৪ দশমিক ৩ শতাংশের মতো। এর আগের বছর ১২ শতাংশ ছিল। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ৬৬ শতাংশ এবং ভারতের ঋণ ৩৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, আমরা যে প্রকল্পগুলো নিয়েছি, সেটা যদি জনগণের কল্যাণে নিয়ে থাকি ও এর যে রিটার্ন পাবো, সেটা যদি ঠিকমতো হয়, তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অন্তত, আমার সময়ে বাংলাদেশ কখনোই ঋণের ফাঁদে পড়বে না।

মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে, সেটা আমাদের টাকা, চাইনিজরা কন্ট্রাক্টটর। এটা আমাদের টাকায় করছি।

এর আগে, মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম’স অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯ শীর্ষক গ্রীষ্মকালীন সম্মেলন শুরু হয়।

তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদসহ প্রায় ১ হাজার ৮শ’র বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনটি ‘ডব্লিউইএফ সামার দাভোস’ নামেও পরিচিত।

উত্তর-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র উত্তর চীনের হংকং হিসেবে পরিচিত লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান শহরে শুরু হওয়া বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত জেনেভাভিত্তিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব ও লিয়াওনিং প্রদেশের গভর্নর ত্যাং ইউজুন।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দালিয়ান থেকে বেইজিং যাবেন। সেখানে চীনের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হতে পারে।

চীন সফর শেষে আগামী ৬ জুলাই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা।

এর আগে, গত সোমবার (১ জুলাই) চীনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সরকারি সফর ও ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে দালিয়ান আসেন প্রধানমন্ত্রী।

Post a Comment

Previous Post Next Post