স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজনই সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী।
নিহতরা হলেন মনোয়ারা পারভিন (৪৫), ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা (২০), সানজিদা (২০) ও অপরজন কাওসার (২৬)। এখন পর্যন্ত এই চারজনের মৃত্যুর খবরই নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
নিহতদের মধ্যে ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা ও সানজিদা সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে অপর একজন হলেন মনোয়ারা পারভিন। তাঁর বাড়ি কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্তগ্রামে। তিনি কুলাউড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারীর স্ত্রী।
নিহত ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভার বাবার নাম আব্দুল বারী। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। পড়াশোনা করতেন সিলেট নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে।
ঢাকায় একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
অপর নিহত নারী সানজিদার, বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তিনিও সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
নিহত কাওসারের পরিচয় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বাবার নাম নূর হোসেন। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলে।
দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সিলেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি সদস্যরা। এতে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনায় রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে উপজেলার বরমচাল লেভেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর সিলেটের বিভিন্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ১১টি ইউনিট, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।