নিউজ ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে একমাত্র সদস্য হিসেবে বিএনপি কাকে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা চলছে। এ আসনে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য মনোনয়ন পেতে পারেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা চাচ্ছেন জিয়া পরিবারের কাউকে। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে তা নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর।
তিনি মুক্তি পেলে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপির পাঁচ এমপি শপথ নেয়ার পর সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেতে দলের নেত্রীদের মধ্যেও অনেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
এর মধ্যে আলোচনায় আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী।
দল কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সময়মতো সবই জানা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, শর্মিলা রহমান সিঁথিকে নিয়ে বিভিন্ন মতও আছে। সবচেয়ে ভালো হতো যদি ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসতেন। তবে পরিবারের কেউ রজনীতিতে আসবে কি না, তা নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার বেরিয়ে আসা বা তার সিদ্ধান্তের ওপর। এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত কাজ করবে না বলেও তিনি মনে করেন।
সূত্র জানায়, কোকোর মৃত্যুর পর শর্মিলা সিঁথি তার দুই কন্যাকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে শর্মিলা দেশে এসেছিলেন।
তখন খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন। এদিকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পেতে দলের অনেকেই নীতিনির্ধারকদের বাসায় গিয়ে তদবির শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। দলের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, শর্মিলা সিঁথিকেই সংরক্ষিত নারী আসনে একমাত্র এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে।
তবে তা খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। খালেদা জিয়া শিগগির জামিনে মুক্তি পাবেন বলে ওই নীতিনির্ধারক আশা প্রকাশ করেন। এরপরই মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন সম্পর্কে বলা হয়েছে- সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো নারী সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে শপথ নেয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী নির্বাচনে জয়ী কোনো সদস্য প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হয়। তবে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সংশ্লিষ্ট দল যে কোনো মনোনয়ন দিতে পারে এবং নির্বাচিত ব্যক্তি শপথ নিতে পারেন।
জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে ১৭ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, নির্বাচিত ৪৯ সংসদ সদস্যের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন। এ নির্বাচনে ছয়টি আসনে জয়ী বিএনপি সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের হিসাবে একটি সংরক্ষিত আসন পাবে। - যুগান্তর
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা চাচ্ছেন জিয়া পরিবারের কাউকে। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে তা নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর।
তিনি মুক্তি পেলে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপির পাঁচ এমপি শপথ নেয়ার পর সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেতে দলের নেত্রীদের মধ্যেও অনেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
এর মধ্যে আলোচনায় আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী।
দল কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সময়মতো সবই জানা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, শর্মিলা রহমান সিঁথিকে নিয়ে বিভিন্ন মতও আছে। সবচেয়ে ভালো হতো যদি ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসতেন। তবে পরিবারের কেউ রজনীতিতে আসবে কি না, তা নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার বেরিয়ে আসা বা তার সিদ্ধান্তের ওপর। এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত কাজ করবে না বলেও তিনি মনে করেন।
সূত্র জানায়, কোকোর মৃত্যুর পর শর্মিলা সিঁথি তার দুই কন্যাকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে শর্মিলা দেশে এসেছিলেন।
তখন খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন। এদিকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পেতে দলের অনেকেই নীতিনির্ধারকদের বাসায় গিয়ে তদবির শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। দলের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, শর্মিলা সিঁথিকেই সংরক্ষিত নারী আসনে একমাত্র এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে।
তবে তা খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। খালেদা জিয়া শিগগির জামিনে মুক্তি পাবেন বলে ওই নীতিনির্ধারক আশা প্রকাশ করেন। এরপরই মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন সম্পর্কে বলা হয়েছে- সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো নারী সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে শপথ নেয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী নির্বাচনে জয়ী কোনো সদস্য প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হয়। তবে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সংশ্লিষ্ট দল যে কোনো মনোনয়ন দিতে পারে এবং নির্বাচিত ব্যক্তি শপথ নিতে পারেন।
জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে ১৭ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, নির্বাচিত ৪৯ সংসদ সদস্যের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন। এ নির্বাচনে ছয়টি আসনে জয়ী বিএনপি সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের হিসাবে একটি সংরক্ষিত আসন পাবে। - যুগান্তর