বিনোদন ডেস্কঃ রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার আওতাধীন গোবিন্দগঞ্জ গ্রাম। এ গ্রামেই বড় এক মাঠে চারপাশ ঘিরে মানুষের ভিড়। মাঠের একপাশে কিছু বিদেশি মানুষের জটলা। সবার চোখ আকাশপানে।
মাঠের চারপাশ ঘেরা উৎসুক মানুষগুলোর মধ্যে চলছে চাপা গুঞ্জন। কী হবে, কী হবে! দূর থেকে ভেসে আসছে হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনের শব্দ। মাঠের একপাশে বিদেশি লোকগুলো সতর্ক হয়ে গেল। কী যেন তাক করলেন আকাশের দিকে। অন্যদিকে মাঠের মাঝখানে বিশাল কাপড়ের মতো বস্তুর স্তূপ।
হেলিকপ্টার প্রায় কাছে এসে পড়েছে। বিদেশি লোকগুলো সেই স্তূপের চারপাশে প্রস্তুত। মাঝ মাঠ বরাবর হেলিকপ্টার আসতেই ওপর থেকে অর্থাৎ হেলিকপ্টার থেকেই নিচে লাফ দিলেন এক লোক। গায়ে কালো পোশাক। ততক্ষণে বিদেশি লোকগুলোও অতিশয় তৎপর সেই লোকটিকে সেইভ করতে।
এবার কাছে এগিয়ে যেতেই দেখা গেল হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেয়া লোকটি আর কেউই নন। তিনি ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। যিনি অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রত্যয়ে কাজ করেন প্রতিনিয়ত। এখানেই চলছে তার নতুন ছবি ‘দিন : দ্য ডে’র শুটিং। হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেয়ার দৃশ্যটি এ ছবির একটি শট। উড়ন্ত হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেয়া, খুবই রিস্কি শট।
এ শটটি ডামি ব্যবহার করে নিতে পারতেন পরিচালক। কিন্তু অনন্ত মোটেও ডামি ব্যবহার করতে রাজি নন। তার মতে, সব কাজই সঠিক হওয়া চাই। এ জন্য রিস্ক থাকা সত্ত্বেও নিজেই দিলেন হেলিকপ্টার থেকে লাফ!
হেলিকপ্টার থেকে নিচে পড়তে দেখা গেল অনন্তর পরনে নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল ব্রাঞ্চ ‘সোয়াত’ অফিসারের পোশাক। দৃশ্যটি ছিল, হেলিকপ্টারে অনন্ত আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেন অনন্ত জলিল!
শুটিং স্পটে বিদেশি লোকগুলো ইরানি ক্রু। ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমসহ ক্যামেরা, লাইট সব মিলিয়ে ১৭ জন টেকনিশিয়ান কাজ করছেন। সঙ্গে রয়েছেন প্রায় জনাবিশেক দেশীয় ক্রু।
পরবর্তী দৃশ্যের জন্য প্রস্তুত টিমের সদস্যরা। রাস্তা ঘেঁষে দেয়ালের পাশে একটি নতুন টয়োটা হায়েস মাইক্রোবাস দাঁড়ান। সন্ত্রাসীরা সেটা লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ছে। আগুনে গাড়িটি পুড়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্যটিও গ্রাফিক্সে করতে পারতেন।
কিন্তু হলিউডের মতো বাস্তবে গাড়ি পোড়ানোর দৃশ্যটাই অনন্ত দর্শককে দেখাতে চেয়েছেন। তাই বাস্তবেই গাড়ি পোড়ানোর দৃশ্যের শুটিং করেছেন। পরের দৃশ্যে দেখা গেল সন্ত্রাসীরা একের পর এক আক্রমণ করছে। অস্ত্র হাতে অনন্ত তাদের তাড়া করতে গিয়ে আগুনের ভেতর ধোঁয়ার কুণ্ডলি থেকে বের হয়ে আসছেন। সব দৃশ্যই ছিল খুবই রিস্কি। এসব করেই যেন অনন্তর তৃপ্তি।
বিকাল নাগাদ শুটিংয়ের ফাঁকে কিছুটা বিরতি। সেই বিরতিতেই কথা হয় অনন্তর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, আদম পাচার, মাদকের আধিপত্য, চোরাচালান সবকিছুই তুলে ধরা হচ্ছে এ ছবিতে। বিশেষ করে মাদক সমস্যা সারা বিশ্বেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আমরা বিষয়টির ওপর জোর দিচ্ছি বেশি। কীভাবে মাদক এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাচার হয় সেটা দেখাতে আমরা এর আগে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে টানা ১৪ দিন শুটিং করেছি। আগামী মাসে তুর্কিতে শুটিং করব।’
বাংলাদেশে এ ছবির শুটিং করে বেশ তৃপ্ত ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম- এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ‘দিন : দ্য ডে’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন অনন্ত জলিল এবং ইরানি একটি নির্মাণ সংস্থা। ছবিতে অনন্ত জলিলের নায়িকা হিসেবে অভিনয় করছেন বর্ষা।
মাঠের চারপাশ ঘেরা উৎসুক মানুষগুলোর মধ্যে চলছে চাপা গুঞ্জন। কী হবে, কী হবে! দূর থেকে ভেসে আসছে হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনের শব্দ। মাঠের একপাশে বিদেশি লোকগুলো সতর্ক হয়ে গেল। কী যেন তাক করলেন আকাশের দিকে। অন্যদিকে মাঠের মাঝখানে বিশাল কাপড়ের মতো বস্তুর স্তূপ।
হেলিকপ্টার প্রায় কাছে এসে পড়েছে। বিদেশি লোকগুলো সেই স্তূপের চারপাশে প্রস্তুত। মাঝ মাঠ বরাবর হেলিকপ্টার আসতেই ওপর থেকে অর্থাৎ হেলিকপ্টার থেকেই নিচে লাফ দিলেন এক লোক। গায়ে কালো পোশাক। ততক্ষণে বিদেশি লোকগুলোও অতিশয় তৎপর সেই লোকটিকে সেইভ করতে।
এবার কাছে এগিয়ে যেতেই দেখা গেল হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেয়া লোকটি আর কেউই নন। তিনি ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। যিনি অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রত্যয়ে কাজ করেন প্রতিনিয়ত। এখানেই চলছে তার নতুন ছবি ‘দিন : দ্য ডে’র শুটিং। হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেয়ার দৃশ্যটি এ ছবির একটি শট। উড়ন্ত হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেয়া, খুবই রিস্কি শট।
এ শটটি ডামি ব্যবহার করে নিতে পারতেন পরিচালক। কিন্তু অনন্ত মোটেও ডামি ব্যবহার করতে রাজি নন। তার মতে, সব কাজই সঠিক হওয়া চাই। এ জন্য রিস্ক থাকা সত্ত্বেও নিজেই দিলেন হেলিকপ্টার থেকে লাফ!
হেলিকপ্টার থেকে নিচে পড়তে দেখা গেল অনন্তর পরনে নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল ব্রাঞ্চ ‘সোয়াত’ অফিসারের পোশাক। দৃশ্যটি ছিল, হেলিকপ্টারে অনন্ত আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেন অনন্ত জলিল!
শুটিং স্পটে বিদেশি লোকগুলো ইরানি ক্রু। ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমসহ ক্যামেরা, লাইট সব মিলিয়ে ১৭ জন টেকনিশিয়ান কাজ করছেন। সঙ্গে রয়েছেন প্রায় জনাবিশেক দেশীয় ক্রু।
পরবর্তী দৃশ্যের জন্য প্রস্তুত টিমের সদস্যরা। রাস্তা ঘেঁষে দেয়ালের পাশে একটি নতুন টয়োটা হায়েস মাইক্রোবাস দাঁড়ান। সন্ত্রাসীরা সেটা লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ছে। আগুনে গাড়িটি পুড়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্যটিও গ্রাফিক্সে করতে পারতেন।
কিন্তু হলিউডের মতো বাস্তবে গাড়ি পোড়ানোর দৃশ্যটাই অনন্ত দর্শককে দেখাতে চেয়েছেন। তাই বাস্তবেই গাড়ি পোড়ানোর দৃশ্যের শুটিং করেছেন। পরের দৃশ্যে দেখা গেল সন্ত্রাসীরা একের পর এক আক্রমণ করছে। অস্ত্র হাতে অনন্ত তাদের তাড়া করতে গিয়ে আগুনের ভেতর ধোঁয়ার কুণ্ডলি থেকে বের হয়ে আসছেন। সব দৃশ্যই ছিল খুবই রিস্কি। এসব করেই যেন অনন্তর তৃপ্তি।
বিকাল নাগাদ শুটিংয়ের ফাঁকে কিছুটা বিরতি। সেই বিরতিতেই কথা হয় অনন্তর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, আদম পাচার, মাদকের আধিপত্য, চোরাচালান সবকিছুই তুলে ধরা হচ্ছে এ ছবিতে। বিশেষ করে মাদক সমস্যা সারা বিশ্বেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আমরা বিষয়টির ওপর জোর দিচ্ছি বেশি। কীভাবে মাদক এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাচার হয় সেটা দেখাতে আমরা এর আগে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে টানা ১৪ দিন শুটিং করেছি। আগামী মাসে তুর্কিতে শুটিং করব।’
বাংলাদেশে এ ছবির শুটিং করে বেশ তৃপ্ত ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম- এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ‘দিন : দ্য ডে’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন অনন্ত জলিল এবং ইরানি একটি নির্মাণ সংস্থা। ছবিতে অনন্ত জলিলের নায়িকা হিসেবে অভিনয় করছেন বর্ষা।