শঙ্কার মধ্যেই গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত হাকালুকি হাওরের কৃষকরা


বিশেষ প্রতিনিধিঃ হাওরের মাঠে এখন সোনালী স্বপ্ন, মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে কৃষকের ফসল। চোঁখ যে দিকে যায় শুধু দেখা যায় ধান আর ধান। চারিদিকে নতুন ধানের গন্ধে বিভোর হাকালুকি হাওর-বাসী। সেই সোনালী ফসল ধান গোলায় তোলার স্বপ্নে বিভোর এ অঞ্চলের কৃষকরা। বাড়ি বাড়ি চলছে ধান কাটার প্রস্তুতি। কেও বা খোঁজ করছে ধান কাঁটার শ্রমিক। আবার কোথাও ইতিমধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, এবার ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। তবে আগাম বৃষ্টির কারণে কৃষকের মনে ফসল হারানোর শঙ্কাও রয়েছে। গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের মনে পানি বাড়ার আশষ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফসল হারানোর শঙ্কায় কৃষকেরা আধাপাকা বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন। কারণ গত বছর হাওরের বাঁধ ভেঙে কৃষকের সম্পূর্ণ ধান তলিয়ে যায়। তবে এবছরের সব ধান তুলতে পারলে গত বছরের ক্ষতি অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা।

হাকালুকি হাওর থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে ভুকশিমইলের শরাফত আলী বললেন ১০ কিয়ারে (বিঘা) ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের ধানের খেত করছি খুব ভালা ফসল হইছে এখনো আধাপাকা রইছে। হাওরে ডুবলে কষ্ট বৃথা যাইবো। তাই, ডরে ধান কাটা শুরু করি দিছি। আইজ মাত্র দুই শতকের কাটছি কুলাউড়া বরমচালের আলীনগর গ্রামের সেলিম মিয়া নামে এক কৃষকে তাঁর দুই ছেলে লায়েকুজ্জামান ও কমরুজ্জামানকে নিয়ে বোরো ধান কাটতে দেখো যায়। তিনি বলেন, আমি ১৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। যদি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হই তবে পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়বো তাই, ফসল হারাতে চাইনা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ধান কাটছে কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে ৫৩ হাজার ১৬২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। গত বছর ৫৪ হাজার ১২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছি। গত বছরের চাইতে ৮৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে। আবাদ কম হওয়ার কারণ হিসাবে কৃষি অফিস বলেছে সময়মতো বৃষ্টি কম হওয়ায় এবছর পিছিয়ে থাকার কারণ,উপজেলায় চাষাবাদ হয়েছে ৬৮০০। হাইব্রিড ১৮০, উফশী ৬৬০০ ও স্থানীয় ২০ হেক্টর জায়গা আবাদ হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন, বোরো ধান পাকতে আরও সাপ্তাহখানেক সময় লাগবে। তবে, হাওয়রে বিচ্ছিন্নভাবে আগাম প্রজাতির ধান কাটা শুরু হয়েছে। মূলত ফসল হারানোর ভয়ে কৃষকরা এটা করছেন। চৈত্র বৈশাখ মাসে এ রখম কিছু বৃষ্টি হয়। এতে শঙ্কায়ের কিছু নেই। এবছর ফসল অনেক ভালো হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post