৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তে তদন্ত


অনলাইন ডেস্কঃ ইংরেজি ভাষা বিষয়ক পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এরই মধ্যে কমপক্ষে ১০০০ শিক্ষার্থীকে এ সিদ্ধান্তের অধীনে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। জালিয়াতি সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তদন্ত শুরু হয় ২০১৪ সালে। তারপর ওইসব ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। এ তদন্তে সহযোগিতা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু উইন্ডরাশ স্ক্যান্ডাল সামনে আসার পর নতুন করে জনগণ ও পার্লামেন্টারি নজরে এসেছে। উইন্ডরাশ স্ক্যান্ডাল হলো ২০১৮ সালে ব্রিটেনে রাজনৈতিক একটি স্ক্যান্ডাল। এতে ভুলভাবে অনেক মানুষকে আটক, তাদেও বৈধ অধিকার প্রত্যাখ্যান, ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৮৩ জনকে ভুলভাবে ব্রিটেন  থেকে বের করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের জালিয়াতির বিষয়ে যেসব তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছে এবং এ পর্যন্ত সে বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য যাচাই করে দেখছে ন্যাশনাল অডিট অফিস। শিক্ষার্থীদের চিটিং বা জালিয়াতির কেলেঙ্কারি আলোর মুখ দেখে বিবিসি প্যানোরমার ছদ্মবেশী তদন্তে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক ভাষা বিষয়ক পরীক্ষা নেওয়া হয় এমন দুটি সেন্টারের প্রতারণার বিষয়ে তদন্ত করা হয়।

তৎকালীন সরকার টেস্ট অব ইংলিশ ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন (টিওইআইসি) পরীক্ষা অনুমোদন করে। এতে রয়েছে একটি লিখিত, এশটি মৌখিক ও বেশ কিছু এমসিকিউ প্রশ্ন। বিবিসির ওই রিপোর্টের পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছিলেন, প্রাপ্ত তথ্য অত্যন্ত হতাশাজনক।

Post a Comment

Previous Post Next Post