সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করল আইনসেবা


নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিদ্যালয় হাসিমুখ-এর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে আইনসেবা- এ লিগ্যাল সাপোর্ট সেন্টার সোসাইটি।

রোববার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মেহেরুননেছা স্কুলে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা নববর্ষ উদযাপন করে।


শিশুদের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনসেবা- এ লিগ্যাল সাপোর্ট সেন্টার সোসাইটির উপদেষ্টা ও ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান এবং উপদেষ্টা চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাসরুর জামান।


এ সময় শিশুদের নিয়ে আইনসেবার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে (www.ainsheba.org.bd) উদ্বোধন করা হয় এবং আইনসেবার পক্ষ থেকে  শিশুদের মধ্যে টি-শার্ট বিতরণ করা হয়।


আইনসেবা’র উপদেষ্ঠা ড. সলিমুল্লাহ খান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন  একজন বড় লেখক আহমেদ ছফা তিনি এই পরিবাগে শিশুদের জন্য একটা ছোট স্কুল খুলেছিলেন নাম ছিল শিল্পী সুলতান পাঠশালা, ঠিক তেমনি হাসিমুখ বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্য নিয়ে একটি স্কুল পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের সব ছেলে মেয়ে সমান সুযোগ পায় না, তাই যেসব উদ্যোমী তরুণরা এই হাসিমুখ স্কুলে সহায়তা করছে তাদের সাধুবাদ জানাই। সেই সঙ্গে আমাদের আইনসেবার যেসব সদস্যরা হাসিমুখের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করছে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। হাসিমুখ স্কুলের সমৃদ্ধিও কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে এসে নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ছে জানিয়ে আইনসেবার উপদেষ্টা মীর মাসরুর জামান বলেন, আমি শিশু সংগঠন করেই বড় হয়েছি, আজ এ অনুষ্ঠানে এসে আমি বারবার শৈশবে ফিরে যাচ্ছি, আজ আমি শিশুদের যে মুখগুলো দেখছি সেগুলো আমার নিজের বলে মনে হচ্ছে। এখানকার বাচ্চারা যে মুহূর্তগুলো উপভোগ করছে এটাই বড় পাওয়া।

তিনি বলেন, একজন সামাজিক সক্রিয় মানুষ হিসেবে আমি হাসিমুখ ও আইনসেবার জন্য শতভাগ দিয়ে পাশে থাকব, শিশুদের পাশে থাকব। আমার মাধ্যমে যদি ভালো কিছু তাদের জন্য হয় সেটাকে নিজের জীবনের বড় সার্থকতা হিসেবে বিবেচনা করব।


আইনসেবার নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী স্বর্ণকান্তি দাস চৌধুরী বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে বেড়ে ওঠা এসব শিশু যেমন বঞ্চিত হচ্ছে তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকে; ঠিক তেমনি বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার আলো থেকে। দরিদ্র পরিবারগুলো যেমন তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে না দারিদ্র্যের কারণে, তাই আইনসেবার পক্ষ থেকে আমরা হাসিমুখের কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাতে চাই।

তিনি বলেন, সমাজের সব শিশুদের তাদের শৈশবে সব ধরনের অনুষ্ঠান উপভোগ করার অধিকার আছে। আইনসেবা চায় স্বাধীন, মুক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু আর স্বাভাবিক বিকাশে প্রতিটি  সুবিধা বঞ্চিত শিশুর জন্য অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করা। সকল প্রকার অবজ্ঞা, নিষ্ঠুরতা এবং শোষণের হাত থেকে এসব শিশুদের রক্ষা করা।

অনুষ্ঠানটি বাঙালী ঐত্যিহের আমেজ সাজানো হয়। শিশুদের পারফর্ম করার জন্য অনুষ্ঠান উন্মুক্ত করে হয়। শিশুরা নাচ ও গান পরিবেশন করে এবং শিশুদের  তৈরি করা হস্তশিল্প সামগ্রীর প্রদর্শনী করা হয়।

অনুষ্ঠানে হাসিমুখের উপদেষ্টা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, শুভাকাঙ্ক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রেজাউল হক, আইনসেবা’র সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো: নজরুল ইসলাম, আইনসেবা’র সহ-নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নুরুল আলম ভূইয়া, আইনসেবার কোষাধ্যক্ষ চ্যানেল আইয়ের অনলাইন জার্নালিস্ট আরেফিন তানজীব, জজ কোর্টের আইনজীবী ওমর জাকির বাবুল, সাংবাদিক শাকির আহমদ-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post