নিউজ ডেস্কঃ বড়লেখা থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে আন্ত:জেলা অটোরিকশা (সিএনজি) চোরচক্রের ৮ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। চালককে মারধর করে একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত কয়েকদিনের অভিযানে এদের গ্রেফতারের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া ২টি অটোরিকশা।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে বড়লেখার তারাদরম গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে বাবুল আহমদ (৩৫), পূর্ব চন্ডিনগর গ্রামের মৃত আজই মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান (৩৪), ছমির উদ্দিন বলাইর ছেলে রাহেল আহমদ (২৫), মোহাম্মদনগর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ আহমদ (২৮), পৌরসভার গাজিটেকার সাখাওয়াত আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৫), সিলেটের জালালাবাদ থানার মৃত উস্তার আলীর ছেলে মাছুম আহমদ (৩৫), গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আলামিন (৩০), সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার শিপাউল ইসলাম (৩০)।
এদের মধ্যে ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা আলামিন, মাছুম আহমদ, আব্দুল হান্নান ২২ ফেব্রুয়ারি এবং বাবুল আহমদ ও শিপাউল ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি রাতে বড়লেখা পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনী এলাকা থেকে পরিবহন শ্রমিক নেতা রফিক উদ্দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে যাত্রীবশী ২ ছিনতাইকারী। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির তারাদরম এলাকায় চালককে মারধর করে ছিনতাইকারীরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় চালক মুহিবুর রহমান নামে এক ছিনতাইকারীকে চিনে ফেলে। গাড়ির মালিকের কাছে তার নাম বলায় স্থানীয়ভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক নেতা রফিক উদ্দিন উপজেলার তারাদরম গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে বাবুল আহমদ (৩৫), তার ভাই মুহিবুর রহমান (২২), মুড়াউল গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে সুহেল আহমদ (২২) ও তারাদরম এলাকার বেলাল আহমদের (২৬) নাম উল্লেখ এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মিন্টু চৌধুরী অটোরিকশাটি উদ্ধার ও চোরচক্রকে গ্রেফতারে নামেন। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চোরদের অবস্থান শনাক্ত করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে প্রথমে সিলেট থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় বাবুল আহমদকে গ্রেফতার করেন। বাবুলের দেয়া তথ্যে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে মাছুম আহমদ ও আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ছাতকের ফেরিঘাট এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ গ্রেফতারকৃত এ তিনজনকে বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২দিনের রিমান্ডে বাবুল, মাছুম ও হান্নানের দেয়া তথ্যে পুলিশ ১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে আলামিন (৩০) ও দোয়ারাবাজার থেকে শিপাউল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেন। এ দু’জনের দেয়া তথ্যে সুনামগঞ্জ সদরের ওয়েজখালি এলাকা থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গত ৪ মাস আগে এটি বড়লেখার সদর ইউপির বিছরাবাজার এলাকা থেকে চুরি হয়। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আলামিন ও শিপাউলের ১০ দিনের ও বাবুল, মাছুম ও হান্নানের পুনরায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারি ৫ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে দেয়া তথ্যমতে পুলিশ ১৯, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে রাহেল আহমদ (২৫), আব্দুল কুদ্দুস (২৫) ও মো. ইউসুফ আহমদকে (২৮)। ২২ ফেব্রুয়ারী তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা আলামিন, মাছুম আহমদ, আব্দুল হান্নান ২২ ফেব্রুয়ারি এবং বাবুল আহমদ ও শিপাউল ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে আদালত আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক শনিবার সন্ধ্যায় জানান, সব মিলিয়ে ৮ অটোরিকশা চোরেক গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বড় একটি চক্র সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও দোয়ারাজারে অবস্থান। চোরাই গাড়িগুলো ওখানে নিয়ে বিক্রি ও ব্যবহার করে। তাদের শনাক্ত করা গেছে। চক্রের সকল সদস্যকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ - পাতাকুড়ি
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে বড়লেখার তারাদরম গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে বাবুল আহমদ (৩৫), পূর্ব চন্ডিনগর গ্রামের মৃত আজই মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান (৩৪), ছমির উদ্দিন বলাইর ছেলে রাহেল আহমদ (২৫), মোহাম্মদনগর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ আহমদ (২৮), পৌরসভার গাজিটেকার সাখাওয়াত আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৫), সিলেটের জালালাবাদ থানার মৃত উস্তার আলীর ছেলে মাছুম আহমদ (৩৫), গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আলামিন (৩০), সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার শিপাউল ইসলাম (৩০)।
এদের মধ্যে ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা আলামিন, মাছুম আহমদ, আব্দুল হান্নান ২২ ফেব্রুয়ারি এবং বাবুল আহমদ ও শিপাউল ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি রাতে বড়লেখা পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনী এলাকা থেকে পরিবহন শ্রমিক নেতা রফিক উদ্দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে যাত্রীবশী ২ ছিনতাইকারী। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির তারাদরম এলাকায় চালককে মারধর করে ছিনতাইকারীরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় চালক মুহিবুর রহমান নামে এক ছিনতাইকারীকে চিনে ফেলে। গাড়ির মালিকের কাছে তার নাম বলায় স্থানীয়ভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক নেতা রফিক উদ্দিন উপজেলার তারাদরম গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে বাবুল আহমদ (৩৫), তার ভাই মুহিবুর রহমান (২২), মুড়াউল গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে সুহেল আহমদ (২২) ও তারাদরম এলাকার বেলাল আহমদের (২৬) নাম উল্লেখ এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মিন্টু চৌধুরী অটোরিকশাটি উদ্ধার ও চোরচক্রকে গ্রেফতারে নামেন। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চোরদের অবস্থান শনাক্ত করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে প্রথমে সিলেট থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় বাবুল আহমদকে গ্রেফতার করেন। বাবুলের দেয়া তথ্যে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে মাছুম আহমদ ও আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ছাতকের ফেরিঘাট এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ গ্রেফতারকৃত এ তিনজনকে বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২দিনের রিমান্ডে বাবুল, মাছুম ও হান্নানের দেয়া তথ্যে পুলিশ ১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে আলামিন (৩০) ও দোয়ারাবাজার থেকে শিপাউল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেন। এ দু’জনের দেয়া তথ্যে সুনামগঞ্জ সদরের ওয়েজখালি এলাকা থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গত ৪ মাস আগে এটি বড়লেখার সদর ইউপির বিছরাবাজার এলাকা থেকে চুরি হয়। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আলামিন ও শিপাউলের ১০ দিনের ও বাবুল, মাছুম ও হান্নানের পুনরায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারি ৫ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে দেয়া তথ্যমতে পুলিশ ১৯, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে রাহেল আহমদ (২৫), আব্দুল কুদ্দুস (২৫) ও মো. ইউসুফ আহমদকে (২৮)। ২২ ফেব্রুয়ারী তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা আলামিন, মাছুম আহমদ, আব্দুল হান্নান ২২ ফেব্রুয়ারি এবং বাবুল আহমদ ও শিপাউল ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে আদালত আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক শনিবার সন্ধ্যায় জানান, সব মিলিয়ে ৮ অটোরিকশা চোরেক গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বড় একটি চক্র সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও দোয়ারাজারে অবস্থান। চোরাই গাড়িগুলো ওখানে নিয়ে বিক্রি ও ব্যবহার করে। তাদের শনাক্ত করা গেছে। চক্রের সকল সদস্যকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ - পাতাকুড়ি
