তামিমের অগ্নিঝরা সেঞ্চুরিতে শিরোপা কুমিল্লার


স্পোর্টস ডেস্কঃ কেটে গেছে পাঁচটি আসর। শিরোপা তো দূরে থাক ফাইনাল খেলার সৌভাগ্যও হয়নি। ষষ্ঠ আসরে যেন একসঙ্গে সব স্বপ্ন পূরণ। প্রথমবার ফাইনালে খেলেই শিরোপা। তাও আবার ১৪১ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস নিজের ব্যাট থেকে। তিনি আর কেউ নন, দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার অগ্নিঝরা ব্যাটিংয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৭ রানে হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ঘরে ওঠল বিপিএলের দ্বিতীয় শিরোপা।

ফাইনালে ২০০ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরু থেকে ভালোই খেলছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। নবম ওভারেই শত রান পূর্ণ করে তারা। তবে এরপর হঠাৎ দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে হঠাৎ পড়ে যায় দলটি। রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর ১০২ রানের জুটি গড়েন উপুল থারাঙ্গা ও রনি তালুকদার। তবে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগে আউট হয়ে যান থারাঙ্গা। ২৭ বল থেকে ৪৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি।

থারাঙ্গাকে অনুসরণ করে দলীয় ১২০ রানে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক সাকিব। এক রানের ব্যবধানে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান করে রনি তালুকদার রান আউট হয়ে ফিরে যান। সেই আসা-যাওয়ার মিছিলে একে একে যোগ দেন আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড ও শুভাগত হোম। শেষ দিকে নুরুল হাসান (১৮) ও মাহমুদুল হাসানের (১৫) চেষ্টায় হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি ঢাকা।

কুমিল্লার পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ তিনটি এবং মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও থিসারা পেরেরা দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিমের ঝড়ো ইনিংসে ঝড়ো ইনিংসে তিন উইকেটে ১৯৯ রান করে কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা সতর্কতার সঙ্গেই করে কুমিল্লা। তবে ৯ রানে রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন এভিন লুইস। এরপর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে যতোটা সম্ভব সামনে চলার চেষ্টা করেন তামিম। তার সেই প্রচেষ্টা কাজে লেগেছে।

দ্বাদশ ওভারে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বিজয়। ৩০ বল থেকে দুটি চারে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। বিজয় আউট হওয়ার পরপরই রান আউটের ফাঁদে পড়েন শামসুর রহমান। পরে ইমরুল সঙ্গী হন তামিমের। একপ্রান্ত ধরা রাখা ছাড়া ইমরুল তেমন কিছু করেননি।

তবে অপরপ্রান্তে ব্যাটে ঝড় তোলেন তামিম। শেষ দিকে যেন তামিমের ব্যাট হয়ে ওঠে আগুনের মতো। ৬১ বল থেকে ১০টি চার ও ১১টি ছক্কার মারে তামিম করেন ১৪১ রান। আর ইমরুল ২১ বল থেকে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post