কুলাউড়ায় নিহত দুই নেতার পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় বিএনপি


বিশেষ প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কুলাউড়ায় নিহত দুই বিএনপি নেতার পরিবারের খোঁজ খবর নিতে ১৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কুলাউড়ায় আসেন।
ভোটের আগের রাতে পুলিশী হয়রানিতে আতঙ্কিত হয়ে নিহত কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি নির্বাচনী এজেন্ট আবুল কাসেম মোস্তফার বাড়িতে বিকেলে যান। এসময় মরহুমের কবর জিয়ারত শেষে পুত্র মিজানুর রহমান সহ পরিবারের সদস্যদেরকে শান্তনা দেন। 
সন্ধ্যার পরে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় কারাবরণ শেষে বাড়ীতে এসে হার্ট এ্যাটাকে নিহত হওয়া কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন চৌধুরী শাহীনের বাড়িতে যান। এসময় নিহত শাহীন চৌধুরীর স্ত্রী সাবেরা আক্তার চৌধুরী, মেয়ে ইশরাত, ইশফাত ও জান্নাতুল এবং ভাই সুলতান হোসেন চৌধুরীর সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজান, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য হায়দর আলী লেলিন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন জুনেদ, জেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, সদস্য বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা বিএনপির অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান খান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর ভূইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমদ, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ, কুলাউড়া পৌর বিএনপির সভাপতি শামীম আহমদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা হাজী রফিক মিয়া ফাতু ও আব্দুর নূর চৌধুরী হীরা, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে সারা বাংলাদেশে পুলিশী তান্ডবে আমাদের শত শত নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, জেল কেটেছেন, মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় জর্জরিত এহেন অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দের্শে আমরা সিলেট বিভাগের ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেয়ার  জন্য তাদের বাড়িতে এসেছি। কুলাউড়ায় আমাদের বিএনপির ২ জন কর্মী শাসক দলের ইন্ধনে পুলিশী তান্ডবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আরেকজন সাবেক চেয়ারম্যান কমরু পুলিশী হেফাজতে অসুস্থ হয়ে এখন খুবই করুন অবস্থায় রয়েছেন। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

Post a Comment

Previous Post Next Post