কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের ১৮ তম কাত্যায়ানী পূজা গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।এই দিনটি উপলক্ষে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মাধবপুর চা বাগান সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে কার্তিক মাসব্যাপী ব্রত পালন শেষে (২২ নভেম্বর) রাত থেকে বাগানের বিভিন্ন মন্দিরে নাম কীর্তন শুরু হয় এবং শুক্রবার ভোর রাত থেকেই বিভিন্ন চা বাগানের কয়েক হাজার ভক্তরা গঙ্গা স্নান ও পূজার্চ্চনা করতে হীরামতি ধলাই নদীর তীরে সমবেত হয়। শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চা শ্রমিকদের কাত্যায়নী পূঁজা আয়োজক কমিটির আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু, এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন মাধবপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিট কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আসহাবুর ইসলাম শাওন,চা মজদুর পত্রিকার সম্পাদক সীতারাম বীন,ইউপি সদস্য কৃষ্ণলাল দেশওয়ারা,সুমিত্রা বালা নুনিয়া,সাবেক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি দেওনারায়ন পাশি, প্রমুখ। সরজমিনে উপস্থিত হয়ে পূজা আয়োজক কমিটির সভাপতি শ্যামদাস পানিকা সাধারন সম্পাদক রাজু করি,প্রতাপ ভর,ইন্দ্রজিৎ মুন্ডা,সত্যনারায়ণ ভর,ইন্দ্রজিৎ নুনিয়া,লক্ষিকান্ত করি(দাদু) বাবু,সহকারী ব্যবস্থাপক প্রসেনগুফ, কাহার,নিমাই নুনিয়া ও শিউনারায়ণ নুনিয়ার সাথে আলাপ জানা যায়, ভগবত পুরাণ গ্রন্থের দশম স্কন্দের দ্বাবিংশ অধ্যায়ে কাত্যায়ানী ব্রেেতর উল্লেখ আছে। এই কাহিনী অনুযায়ী, ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরূপে কামনা করে সমগ্র মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত করেন। এই একমাস তাঁরা কেবলমাত্র মশলাবিহীন খিচুড়ি খেতেন এবং সকাল বেলা নদীতে স্নান করে নদীতীরে মাটির কাত্যায়ানী মূর্তি গড়ে চন্দন, দীপ, ফল, পান, নবপত্র, মালা ও ধূপ দিয়ে দেবীর পূজা করা হয়। এরপরই নদীতে স্নান করে ভক্তরা বাড়ী ফিরে যান । মনোমতো স্বামী প্রার্থনায় গত এক মাস ব্যাপী উপবাস করে কাত্যায়ানী ব্রত পালন করা হয়েছে। এই একমাস তাঁকে চন্দন, ধূপ, দীপ ইত্যাদি দিয়ে পূজা করা হয়েছে। আজ ভোর রাত থেকে স্নান করে ভিজা কাপড়ে খোদিত কাত্যায়নীর মূর্তি পূজা করেন হাজার হাজার চা শ্রমিক ভক্তরা পরে উপস্থিত সকল ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮ বছর যাবত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সরকারী সহযোগিতা পেলে অনুষ্ঠানের আরো ব্যাপকতা বাড়বে।
