বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জাপানের টোকিওতে ১৯তম আন্তর্জাতিক সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিক
ডিসওর্ডার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৮, ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে কী নোট স্পিকার হিসেবে বাংলাদেশের
দুই প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করবেন।
ওই দুই চিকিৎসক হলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ করমকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাঈদ এনাম এবং গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া।
বুধবার রাতে বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ করমকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাঈদ এনাম।
আন্তর্জাতিক এই কংগ্রেসের আয়োজক এলাইড একাডেমি স্কলার্স। এলাইড একাডেমি সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানান মেডিকেল বিষয়ে অভিজ্ঞ স্কলারদের নিয়ে প্রতিবছর এ রকম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস এর আয়োজন করে থাকে।
আন্তর্জাতিক এই কংগ্রেসে কী নোট স্পিকার হিসাবে বাংলাদেশের সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. সাঈদ এনাম ব্রেইন স্ট্রোক এন্ড ডিপ্র্রেশন নিয়ে তার গবেষণা তুলে ধরবেন। ডা. জোবায়ের মিয়া এপিলেপ্সী বা মৃগী রোগ বিষয়ে তার গবেষণা বিশ্ব মনোবিজ্ঞানীদের এ আসরে তুলে ধরবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. সাঈদ এনাম বলেন, প্রথম যেদিন তারা আমার গবেষণা পড়ে মেইল করলো, রিভিউ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কী নোট স্পিকার মনোনয়নের, আমার বিশ্বাস হয়নি। সত্যি কথা। তখন আমি আমার পুরো গবেষণাটি পুনরায় একবার সারা রাত জেগে রিডিং দিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার গবেষণার গাইড সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক গোপাল শংকর দে স্যার ও কো-গাইড নিউরোমেডিসিনের প্রখ্যাত অধ্যাপক মতিউর রহমান স্যারকে সঙ্গে সঙ্গে জানাই। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী।
এ ব্যাপারে ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া বলেন, ‘আমাকে কী নোট স্পিকার হিসেবে মনোনিত করার খবরে আমি খুবই আনন্দিত ও বিস্মিত হয়েছি। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন সফলভাবে দেশের অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ভাবে তুলে ধরতে পারি।’
এর আগে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় মাদকাসক্তি রোগীদের শারীরিক উপসর্গ নিয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের।
প্রসঙ্গত, ডা. সাঈদ এনাম ইউরোপিয়ান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের একজন মেম্বার। ২০০২ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেন। পরে তিনি সাইকিয়াট্রি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। আর ডা. জোবায়ের মিয়া ২০০০ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সাইকিয়াট্রি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে দুজনই ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মানসিক রোগ বিষয়ে সেমিনারে অংশ নেন।
সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. সাঈদ এনামের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি বিভিন্ন পত্রিকার একজন নিয়মিত লেখক। মনোরোগ বিষয় তার বিভিন্ন প্রবন্ধ ও গল্প ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া ১৯৭৫ সালে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী ভায়াডাংগা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সালে রাজশাহী মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকিয়াট্রিতে এমফিল পাস করেন। এর আগে প্রায় ৬ বছর মানসিক হাসপাতাল পাবনায় কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন এ চিকিৎসক।
ওই দুই চিকিৎসক হলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ করমকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাঈদ এনাম এবং গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া।
বুধবার রাতে বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ করমকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাঈদ এনাম।
আন্তর্জাতিক এই কংগ্রেসের আয়োজক এলাইড একাডেমি স্কলার্স। এলাইড একাডেমি সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানান মেডিকেল বিষয়ে অভিজ্ঞ স্কলারদের নিয়ে প্রতিবছর এ রকম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস এর আয়োজন করে থাকে।
আন্তর্জাতিক এই কংগ্রেসে কী নোট স্পিকার হিসাবে বাংলাদেশের সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. সাঈদ এনাম ব্রেইন স্ট্রোক এন্ড ডিপ্র্রেশন নিয়ে তার গবেষণা তুলে ধরবেন। ডা. জোবায়ের মিয়া এপিলেপ্সী বা মৃগী রোগ বিষয়ে তার গবেষণা বিশ্ব মনোবিজ্ঞানীদের এ আসরে তুলে ধরবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. সাঈদ এনাম বলেন, প্রথম যেদিন তারা আমার গবেষণা পড়ে মেইল করলো, রিভিউ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কী নোট স্পিকার মনোনয়নের, আমার বিশ্বাস হয়নি। সত্যি কথা। তখন আমি আমার পুরো গবেষণাটি পুনরায় একবার সারা রাত জেগে রিডিং দিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার গবেষণার গাইড সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক গোপাল শংকর দে স্যার ও কো-গাইড নিউরোমেডিসিনের প্রখ্যাত অধ্যাপক মতিউর রহমান স্যারকে সঙ্গে সঙ্গে জানাই। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী।
এ ব্যাপারে ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া বলেন, ‘আমাকে কী নোট স্পিকার হিসেবে মনোনিত করার খবরে আমি খুবই আনন্দিত ও বিস্মিত হয়েছি। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন সফলভাবে দেশের অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ভাবে তুলে ধরতে পারি।’
এর আগে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় মাদকাসক্তি রোগীদের শারীরিক উপসর্গ নিয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের।
প্রসঙ্গত, ডা. সাঈদ এনাম ইউরোপিয়ান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের একজন মেম্বার। ২০০২ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেন। পরে তিনি সাইকিয়াট্রি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। আর ডা. জোবায়ের মিয়া ২০০০ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সাইকিয়াট্রি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে দুজনই ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মানসিক রোগ বিষয়ে সেমিনারে অংশ নেন।
সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. সাঈদ এনামের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি বিভিন্ন পত্রিকার একজন নিয়মিত লেখক। মনোরোগ বিষয় তার বিভিন্ন প্রবন্ধ ও গল্প ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া ১৯৭৫ সালে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী ভায়াডাংগা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সালে রাজশাহী মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকিয়াট্রিতে এমফিল পাস করেন। এর আগে প্রায় ৬ বছর মানসিক হাসপাতাল পাবনায় কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন এ চিকিৎসক।