যুবদল নেতা শামীমের শেষ স্টেটাস 'মা খালেদাকে মুক্তি দিন'


স্টাফ রিপোর্টারঃ আর কখনো ফেসবুকে মায়ের মুক্তি চেয়ে লিখবেন না উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক আজমল আলী শামীম। ১৮ সেপ্টেম্বর ২টা ১২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে লিখেছিলেন 'মা খালেদার মুক্তি দিন'। আর কোনদিন ফেসবুকে তার কোন স্টেটাস লিখা হবে না। 

এক মর্মান্তিক দুর্গটনায় ঐদিন রাতেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন কুলাউড়া উপজেলা যুবদলের নিবেদিত প্রান আজমল আলী শামীম। রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় তৃনমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা এই নেতা একসময় উপজেলা ছাত্রদলের দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠার সাথে। তার এই চলে যাওয়ায় দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। 

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল থেকে মোটরসাইকেল যোগে কুলাউড়ায় ফেরার পথে গাজীপুর সংলগ্ন পাহাড়ী পথে বন্য হাতির রোষানলে পড়ে নিখোঁজ ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুবদল নেতা আজমল আলী শামীম (৪৫)। তার সাথে থাকা মোটরসাইকেল আরোহী কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শাহিন মিয়া পালিয়ে বেঁচে যান।

জুড়ি থানা পুলিশ ও অন্যান্য সুত্রে জানা যায়, ফুলতলা থেকে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০ টায় শামীম ও অন্য একজন সাগরনাল - ফুলতলা সড়ক হয়ে কুলাউড়া ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হাতীর আক্রমনের শিকার হন। এসময় সাথের জন পালিয়ে যান। পরে পুলিশসহ স্থানীয়দের সহায়তায় বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে শাহ্ সুন্দর রহ. (আদাআদির) মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি সড়কের পাশ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শামীম হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবি আমজদ আলীর একমাত্র পুত্র। তারা কুলাউড়া পৌর শহরের দক্ষিণ মাগুরা বাসা করে স্থায়ী বসবাস করতেন। মা, বাবা, স্ত্রী, দুই বোন, একমাত্র সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন শামীম । এই ঘটনায় কুলাউড়ায় সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।



১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় কুলাউড়া উত্তরবাজার জামে মসজিদ মাঠে তার জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post