নতুন করে পারস্য উপসাগরের দখলদারি নিয়ে ইরানের গর্জন


অনলাইন ডেস্কঃ পারস্য উপসাগর থেকে এবার মার্কিন সেনা উঠুক৷ তাদেরই দখলে ‘পার্সিয়ান গল্ফ’, তাই সেনা নজরদারি তুলে নিক যুক্তরাষ্ট্র৷ খুব কূটনৈতিক পদ্ধতিতেই যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা দিল ইরান৷ তাদের দাবি, তেল বাণিজ্যের মূল উপসাগরীয় কেন্দ্র হরমুজ পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণে৷ একা তেহরানই তেল বাণিজ্যকে আন্তর্জাতিক খাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে৷ তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিষ্প্রোয়জন৷

ইরান রেভোলিউশানারি গার্ড জেনারেল অ্যালির্জা তাংসিরির দাবি, হরমুজ প্রণালী থেকে তেল রপ্তানির নিয়ন্ত্রণ তেহরানের হাতেই৷ যুক্তরাষ্ট্র হরমুজ থেকে দূরে থাকলেই গোটা বিষয়টি নিয়ম মাফিক হবে৷ কারণ পারস্য উপসাগর পুরোপুরি ইরানের দখলে৷ এবার যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির কাজ বন্ধ হোক৷

যুক্তরাষ্ট্রেরর চোখে চোখ রেখে ইরানের তেল বাণিজ্য জারি রাখাটা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বড় চ্যালেঞ্জ৷ কারণ ২০১৫ সাল থেকে চলা পরমানু উৎক্ষেপন বিতর্কে ইরানের উপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র৷ ওয়াশিংটনের দাবি, বার বার নিষেধাজ্ঞা না মেনেই পরমানু উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে ইরান৷ তাই চলতি বছরেই তেল বাণিজ্যে ইরানকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷

ক্ষমতার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা ট্রাম্পের নির্দেশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়কটি দেশ মেনে নিয়েছে৷ যার ফলে বেশ বিপাকে ইরান৷ তবে ইরানের দখলেও যে হরমুজ ,তা জানান দিতেই নতুন করে পারস্য উপসাগরের দখলদারি নিয়ে গর্জে উঠল ইরান৷

হরমুজ প্রণালী আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু৷ কারণ, ইরান অধিকৃত হরমুজের উপর দিয়েই আরব আমিরাতের অধিকাংশ তেল রপ্তানি হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, হরমুজ ব্লক করে পরিস্থিতি জটিল করতে পারে ইরান৷ সেই কারণে, পারস্য উপসাগরে মার্কিন সেনার নজরদারি দীর্ঘ দিনের৷ এবার সেই আশঙ্কাকেই বাড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিুচ্ছে তেহরান৷ ইরান সেনা সূত্রের দাবি, ফিরে যাক মার্কিন সেনা, হরমুজ নিয়ন্ত্রণে ইরান একাই যথেষ্ট৷

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেল বাণিজ্যে ইরানকে শূন্যে আনতে চাইছে৷ সেই কারণে আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে ইরানকে ব্লক করার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের৷ অবশ্য,যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরান জানায়, যদি আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে ইরানকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে হরমুজ প্রণালী দিয়ে অন্য দেশেরও তেল রপ্তানি হবে না৷

জট কাটাতে মার্কিন সেনার হরমুজসহ পারস্য উপসাগরে নজরদারি জারি থাকে৷ যা যুক্তরাষ্ট্রের অনধিকার প্রবেশ বলে মনে করে ইরান৷ তাই আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রকে বিপাকে ফেলতে পারস্য উপসাগর থেকে মার্কিন সেনা উৎখাতে তৎপর তেহেরান৷

Post a Comment

Previous Post Next Post