অনলাইন ডেস্কঃ নিত্যদিনের বহুবিধ ব্যবহারের জন্য মানুষ সস্তা এবং সহজলভ্য প্লাস্টিককে বেছে নেয়। ১৯৫০ সালে পুরো পৃথিবীতে প্লাস্টিকের উত্পাদন ছিল মাত্র ২ দশমিক ২ টন। ৬৮ বছর পর ২০১৮ সালে সেটা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চারশ মিলিয়ন টনে। আর প্রতি বছর এই প্লাস্টিকের শতকরা ২ ভাগের স্থান হচ্ছে মহাসাগরে। একদিকে জীববৈচিত্র্যের ওপর এই প্লাস্টিক ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে অন্যদিকে জীববৈচিত্র্য পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখছে এই প্লাস্টিক। সম্প্রতি একদল গবেষক জানিয়েছেন, এই প্লাস্টিকের ওপর ভর করেই এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে পাড়ি জমাচ্ছে শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনুজীব। সুনামির সময় জাপান উপকূল থেকে প্লাস্টিকের তৈরি একটি কাঠামো ভেসে গিয়েছিল সাগরে। আর প্লাস্টিকের সেই কাঠামোতে ভর করে জাপান উপকূল থেকে বেশকিছু প্রজাতি ভেসে গিয়েছিল মহাসাগরে। ছয় বছরের ব্যবধানে ২০১৭ সালে সেই অনুজীবগুলো পৌঁছেছে উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে এবং হাওয়াইসহ বেশকিছু উপকূলে।
গবেষকরা উত্তর আমেরিকার ঐ পশ্চিম উপকূল এবং হাওয়াই’র সাগর পাড় থেকে সংগ্রহ করা বেশ কিছু প্লাস্টিক আবর্জনা সংগ্রহ করে সেগুলোতে অনুসন্ধান করে সেখানে খুঁজে পেয়েছেন জাপানের ২৮৯ প্রজাতির ‘খুদে প্রাণী’। এই অনুজীবগুলোর উল্লেখযোগ্য একটি অংশই আবার ভিন্ন পরিবেশে গিয়ে নতুন করে প্রজননও করেছে। তবে গবেষকদের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এই দীর্ঘ সময় ধরে মহাসাগরের এই বিশাল পথ পাড়ি দেওয়ার সময় প্রতিকূল পরিবেশেও কীভাবে এরা বেঁচে রয়েছে?
জীববিজ্ঞানী গবেষক ক্রিস্টিনা সিমকানিন এসইআরসি’র সামুদ্রিক অনুজীব ল্যাবে গবেষণা করার সময় দেখতে পেয়েছেন, জাপান উপকূল থেকে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল কিংবা হাওয়াইয়ে আসা এসব প্রজাতি নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু প্রজাতি সেখানে প্রজনন করে নতুন করে বংশবৃদ্ধি করেছে। নতুন এই পরিবেশকে নিজেদের অনুকূল পরিবেশই মনে করেছে এরা। গবেষকদের আশঙ্কা, এই সব নতুন প্রজাতির প্রাণীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্থানীয় অনেক প্রাণী এমনকি পরিবেশও। তাই এই বিষয়টি নিয়ে এখনই সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো এবং সান দিয়েগোতেও এই ধরনের কিছু জাপানি প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের উপকূলীয় কাঁকড়া, যদিও এই কাঁকড়াগুলো এশিয়ার কিছু দেশেও দেখতে পাওয়া যায়। শুধু জাপানের উপকূল থেকেই এসব প্রজাতি আমেরিকা মহাদেশে যাচ্ছে না। আমেরিকা মহাদেশ থেকেও অনেক প্রজাতি অন্যান্য মহাদেশে পাড়ি জমাতে অবলম্বন হিসেবে বেঁছে নিচ্ছে মহাসাগরের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা প্লাস্টিক আবর্জনাকে।-ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
গবেষকরা উত্তর আমেরিকার ঐ পশ্চিম উপকূল এবং হাওয়াই’র সাগর পাড় থেকে সংগ্রহ করা বেশ কিছু প্লাস্টিক আবর্জনা সংগ্রহ করে সেগুলোতে অনুসন্ধান করে সেখানে খুঁজে পেয়েছেন জাপানের ২৮৯ প্রজাতির ‘খুদে প্রাণী’। এই অনুজীবগুলোর উল্লেখযোগ্য একটি অংশই আবার ভিন্ন পরিবেশে গিয়ে নতুন করে প্রজননও করেছে। তবে গবেষকদের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এই দীর্ঘ সময় ধরে মহাসাগরের এই বিশাল পথ পাড়ি দেওয়ার সময় প্রতিকূল পরিবেশেও কীভাবে এরা বেঁচে রয়েছে?
জীববিজ্ঞানী গবেষক ক্রিস্টিনা সিমকানিন এসইআরসি’র সামুদ্রিক অনুজীব ল্যাবে গবেষণা করার সময় দেখতে পেয়েছেন, জাপান উপকূল থেকে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল কিংবা হাওয়াইয়ে আসা এসব প্রজাতি নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু প্রজাতি সেখানে প্রজনন করে নতুন করে বংশবৃদ্ধি করেছে। নতুন এই পরিবেশকে নিজেদের অনুকূল পরিবেশই মনে করেছে এরা। গবেষকদের আশঙ্কা, এই সব নতুন প্রজাতির প্রাণীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্থানীয় অনেক প্রাণী এমনকি পরিবেশও। তাই এই বিষয়টি নিয়ে এখনই সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো এবং সান দিয়েগোতেও এই ধরনের কিছু জাপানি প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের উপকূলীয় কাঁকড়া, যদিও এই কাঁকড়াগুলো এশিয়ার কিছু দেশেও দেখতে পাওয়া যায়। শুধু জাপানের উপকূল থেকেই এসব প্রজাতি আমেরিকা মহাদেশে যাচ্ছে না। আমেরিকা মহাদেশ থেকেও অনেক প্রজাতি অন্যান্য মহাদেশে পাড়ি জমাতে অবলম্বন হিসেবে বেঁছে নিচ্ছে মহাসাগরের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা প্লাস্টিক আবর্জনাকে।-ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক