নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কেওয়ালীঘাট ও হকতিয়ার খলা গ্রামের ধলাই নদীর ভাঙ্গন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করার দাবিতে নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী।
সোমবার (২ জুলাই) সকালে হকতিয়ার খলা গ্রামের ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন এলাকায় দাঁড়িয়ে মনিপুরী আদিবাসী নারী-পুরুষেরা এ মানববন্ধন করেন।
আদমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জুমের আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে স্থানীয় জনগণ ছাড়াও আরও অংশ নেন ইউপি সদস্য মো. বশির বক্স, ইউপি সদস্যকে মনিন্দ্র সিংহ প্রমুখ।
মানববন্ধন চলাকালে ইউপি সদস্যরা বলেন, আদমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছাড়াও ৩ ও ৬নং ওয়ার্ডে নদী ভাঙ্গনে ৬ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের মধ্যে কেওয়ালীঘাট ও হকতিয়ারখলা গ্রামের নদী তীরবর্তী অনেক বসতঘর সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। জমিতে রোপিত আউশ ফসল বিনষ্ট হয়েছে। সরকারিভাবে ব্যাপক ত্রাণ সামগ্রী আসলেও এখানকার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা তেমন ত্রাণ সহায়তা পাননি। এজন্য ইতিমধ্যেই নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৬ জন ইউপি সদস্য ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদাল হোসেন বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। নতুন করে আউশ ধান রোপণ করা যাচ্ছে না।
তারা আরও বলেন, এখনই ধলাই নদীর ভাঙ্গন এলাকা মেরামত করে প্রতিরক্ষা বাঁধের বাকি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার করতে হবে। তা নাহলে আগামীতে আমন ধানও চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদাল হোসেন বলেন, কেওয়ালীঘাট ও হকতিয়ার খলা গ্রামে নদী ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ গ্রামগুলির ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কেউ ত্রাণ না পেলে তালিকা দিলে অবশ্যই তাদের ত্রাণ দেওয়া হবে। আর ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন মেরামতের কাজও শুরু হয়ে গেছে।