মঈনুর রহমান সাহান: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সবাইকে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেন, বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি টিক করে দেবে সরকার।তিনি আরও বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।এ সময় তার পক্ষ থেকে ৫শত মেট্রিক টন চাল ও ৪০ লক্ষ টাকা, ১ হাজার টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সোমবার (১৮ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের ৬নং ওয়ার্ডে বড়হাট এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর আসনের সংসদ সদস্যা সৈয়দা সায়রা মহসিন, সাবেক চীফ হুইফ আব্দুস শহিদ এমপি,জেলা প্রশাসক মো: তোফায়েল ইসলাম,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহম্মদ,সাধারণ সম্পাদক মো: মিছবাহুর রহমান,যুগ্ন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো: ফজলুর রহমান,যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন,সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাধা পদ দেব সজল, পৌর কাউন্সিলর মো: জালাল আহম্মদ, কাউন্সিলর মো: ফয়সল আহম্মদ,কাউন্সিলর স্বাগত কোশর দাস চৌধুরী,জেলা যুবলীগের সভাপতি মো: নাহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম সুমন, ১১নং মোস্তফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলাম তাজ, সাবেক স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সেলিম হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হক রাব্বি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহম্মদ,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য মনুর বাঁধ ভাঙায় মৌলভীবাজার শহরের তিনটি ওয়ার্ড ও তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।এর মধ্যে শহরতলীর বড়হাট এলাকা,কুসুমবাগ, বড়কাপন, যোগীডর দূর্লভপুর, ঘরুয়া, বাহারমর্দন, সমপাশি, ভুজবল, খিদুর, দ্বারক, পাগুলিয়া,এবং সদর উপজেলার হিলালপুর ও শেখেরগাওঁ প্লাবিত হয়।
এছাড়াও মৌলভীবাজার জেলায় বন্যায় ৫ উপজেলার ৩০ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মোট ৪০ হাজার ২০০ পরিবার ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।
এর আগে সকালে মন্ত্রী জেলা প্রশাসনের সাথে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউসের মুন হলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় করেন।