আমেরিকার ভিসা আবেদনকারীকে দিতে হবে ফেসবুকের তথ্য



অনলাইন ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে গেলে আবেদনকারীদের পাঁচ বছর আগ পর্যন্ত ব্যবহার করা ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কর্মকাণ্ডের ইতিহাস দিতে হবে। আবেদনকারীদের কাছে এখন এসব চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। হুমকির সৃষ্টি করতে পারে—এমন ব্যক্তির প্রবেশ ঠেকাতে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিবিসির খবরে জানানো হয়, মার্কিন ভিসার আবেদনকারীদের প্রায় সবাইকে তাদের ফেসবুক এবং টুইটার একাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। ভিসার আবেদনের আগেকার পাঁচ বছরে তাদের সোশাল মিডিয়ায় কি পরিচিতি ছিল - তার সকল তথ্য জানাতে হবে আবেদনকারীকে।

যারা ইমিগ্র্যান্ট এবং নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা চান - তাদের সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য এই তথ্য ব্যবহৃত হবে। তাদেরকে আরো দিতে হবে গত পাঁচ বছরের সব টেলিফোন নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা এবং ভ্রমণের ইতিহাস। আবেদনকারীদের জানাতে হবে যে তারা আগে কোন দেশ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন কিনা। এ ছাড়া আবেদনকারীর কোন আত্মীয় সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত ছিলেন কিনা তাও জানাতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার দেশটির ফেডারেল রেজিস্টারে এ-সংক্রান্ত একটি নথি পোস্ট করে। ওই নথি শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসায় যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চান, ভিসা ফরমে তাদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৭ লাখ ১০ হাজার ইমিগ্রান্ট এবং ১ কোটি ৪০ লাখ নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা আবেদনকারী নতুন এই ভিসা ফরমের আওতায় আসবেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারীদের কর্মকাণ্ডের ইতিহাস এবং বিগত পাঁচ বছরে আবেদনকারীর ব্যবহার করা ফোন ও মোবাইল নম্বর জমা দিতে হবে।

যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং জার্মানির নাগরিকদের - যারা যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পান - তাদের ওপর এ প্রস্তাবের কোন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু ভারত, চীন বা মেক্সিকোর মতো দেশের ভ্রমণার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৫ সালে সেন্ট বার্নাডিনোতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হবার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি শুরু হয়। কারণ কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল যে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে আক্রমণকারীদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হবার আভাস ছিল, কিন্তু তারা তা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

এর পর গত মে মাসে নিয়ম করা হয় যে কর্মকর্তারা প্রয়োজনে কারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকান্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। নাগরিক অধিকার গ্রুপগুলো এধরণের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post