বক্সিংডে টেস্টের প্রথম দিনেই ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি

বক্সিংডে টেস্টের প্রথম দিনেই ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি
 
স্পোর্টস ডেস্কঃ বক্সিংডে টেস্টের প্রথম দিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ৯৯ রানে ‘নো বল’ এ জীবন পেয়ে ওয়ার্নার করেন ১০৩ রান। এছাড়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের অপরাজিত ৬৫ রানের উপর ভর করে ইংলিশদের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে ২৪৪ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে অ্যাশেজ সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই মেলবোর্নে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। মারকুটে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারে ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনাই করে অসিরা। উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী ক্যামেরন বেনক্রফটকে নিয়ে ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে দুর্দান্তভাবে লড়াই করেছেন ওয়ার্নার। তাই ২৮তম ওভারের তৃতীয় বলেই একশ রান পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এসময় টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। বেনক্রফটের রান ছিলো ১৯।

তবে দলীয় ১২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২৬ রানে থাকা বেনক্রফটকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ডানহাতি পেসার ক্রিস ওয়াকস। বেনক্রফট ফিরলেও দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরির পথেই হাটছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু ৪১তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্যক্তিগত ৯৯ রানে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা পেসার টম কারানের হাতে বল তুলে দেন তিনি। আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে যখন হাঁটা দেন ওয়ার্নার। তখন ওয়ার্নারকে থামিয়ে দেন অনফিল্ডের দুই আম্পায়ার। কারণ টিভিতে ‘নো-বল’ পরীক্ষা করবেন তারা।

রিপ্লেতে দেখা যায়, বোলিং লাইনের সীমানা অতিক্রম করেছেন কারান। তাই তৃতীয় আম্পায়ারের সহায়তা নিয়ে বলটি ‘নো’ ডাকেন অনফিল্ড আম্পায়াররা। ফলে ৯৯ রানে জীবন পেয়ে কারানের পরের ডেলিভারিতেই লেগ সাইডে ফ্লিক করে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়ার্নার। ১৩০তম বলে তিন অংকে পা দিয়ে নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫১ বলে ১০৩ রান করেন এ ইনিংসেই ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার ১৪তম খেলোয়াড় হিসেবে নিজের ৭০তম ম্যাচে ৬’হাজার রান পূর্ণ করেন এই অসি ওপেনার।

দলীয় ১৩৫ রানে ওয়ার্নারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন উসমান খাজা ও অধিনায়ক স্মিথ। জুটিতে খুব বেশি রান জড়ো করতে পারেননি তারা। খাজাকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে থামিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডকে তৃতীয় সাফল্য এনে দেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড।

খাজার বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ারকে ভালো অবস্থায় নিয়ে দিন শেষ করেন স্মিথ ও শন মার্শ। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ। তার ১৩১ বলের ইনিংসে ৬টি চার ছিলো। অন্যপ্রান্তে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন মার্শ। ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস ১টি করে উইকেট নেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post