হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা


অনলাইন ডেস্কঃ সময়ের সঙ্গে আমাদের জীবনধারায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সেই সাথে বদলে গেছে পরিচিত রোগ-ব্যাধিগুলোও। হৃদরোগ, স্ট্রোক এসব আর এখন শুধু বার্ধক্যের অসুখ নয়। তরুণ বয়সের অনেকেই আজকাল এধরণের রোগের শিকার হচ্ছেন, আর এর পেছনে দায়ী মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। তবে একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাপনের জন্য করণীয়:

১. অনেক চেষ্টার পরও স্লিম হতে না পেরে হতাশ হয়ে চেষ্টাই ছেড়ে দিয়ে ভুল করেন অনেকেই। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে একেবারে রোগা পাতলা হয়ে যেতে হবে এমন কোনো কথা নয়। শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ ওজন কমালেই রক্তের কোলস্টেরল, শর্করা ও প্রেশার স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরতে শুরু করবে।

২. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। পরিমিত পরিমাণে খাবেন এবং পেট ভরে যাওয়ার আগেই টেবিল থেকে উঠে পড়বেন।

৩. রোজ একটু ব্যায়াম করুন, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যাবে অনেকখানি।

দ্রুতপায়ে হাঁটা বা সাঁতার হতে পারে ভালো ব্যায়াম। ১৫ মিনিট করে হাঁটুন- সকাল, দুপুর ও রাতে। এতেই আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা হয়ে যাবে।
৪. হাই প্রেশার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ওষুধ নিজে থেকে বাদ দেবেন না। আপনার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ যেভাবে বলেছেন সেভাবেই খেয়ে যান, এতে হঠাৎ কোন দুর্ঘটনার আশংকা কম থাকবে।

৫. ধূমপান পরিহার করা। এটি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। শুধু যে নিজে ধূমপান করবেন না তাই নয়, যেখানে ধূমপান হচ্ছে এমন জায়গাও এড়িয়ে চলুন।

৬. কখনো শ্বাসকষ্ট, নাড়ির গতিতে অস্বাভাবিকতা বা অতিরিক্ত অবসন্নতা বোধ করলে উপেক্ষা করবেন না, কিংবা নিজে নিজে সেরে যাবার জন্য বসে থাকবেন না। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post