সুন্দর একটি নির্বাচন চায় ব্রাহ্মনবাজার ব্যবসায়ীবাসী


ব্রাহ্মণবাজারের শত শত ব্যবসায়ী চেয়ে আছেন  ইউএনএর দিকে ?

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী ও সুনামধন্য বাজার হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাজার,কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে এই বাজারের শত শত ব্যবসায়ী জিম্মি হয়ে আছেন তিন সদস্য এক আহব্বায়ক কমিটির কাছে। এমনি তথ্য উঠে আসল একটি লিখিত অভিযোগের সূত্র থেকে। তিন সদস্য এই আহব্বায়ক কমিটির ইশারায় চলছে সব কিছু। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, অব্যবসায়ীদের-বহিরাগতদের ভোটার করাও হয় তাদের নির্দেশে। 

সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এক লিখিত অভিযোগে জানা যায়,স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান রফিক আহমদের আমলে তিন মাসের মধ্যে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচন দেওয়ার কথা বলে কমিটিতে আসেন নুরুল ইসলাম খান বাচ্চু (আহব্বায়ক), আব্দুর রহিম (যুগ্ম আহব্বায়ক), সাইফুর রহমান শাহিন (যুগ্ম আহব্বায়ক)।কিন্তু তিন মাসের বদলে তিন বছর পার হলেও তাদের সেই তিন মাস আসে না আর নির্বাচনও হচ্ছে না।  অনিয়মতানিন্ত্রভোবে ক্ষামতায় দখলে রয়েছেন তারা। 


এদিকে বাজার ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে এ আহব্বায়ক কমিটি নির্বাচন দিতে রাজি হলেও কোন নিয়ম নীতির তুয়াক্কা না করে মনগড়া আর ভূয়া বহিরাগত অব্যবসায়ীদের দিয়ে একটি ভোটার তালিকা তৈরি করেছেন এ আহব্বায়ক কমিটি।এমনকি প্রধান নির্বাচন কমিশনের নামও ভোটার তালিকায় রয়েছে।  যদিও নির্বাচন কমিশনার একেএম শাহ জালালের ব্রাহ্মণবাজারে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অস্থিত্ব নেই বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। 

অভিযোগ পত্র

অন্যদিকে সাধারণ সভা ছাড়াই বাজারের তিনটি ওয়ার্ডের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে।  অভিযোগ পত্রে পাঁচদফা দাবীও তুলে ধরেছেন ব্যবসায়ীরা।

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়েছে,তাদের আমলে ব্রাহ্মনবাজারে অনেক দোকানপাঠ চুরি,নিরীয় ব্যবসায়ীরা অন্যায়,অত্যাচার ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন । 
অভিযোগ পত্র

ব্রাহ্মনবাজারের  ব্যবসায়ীরা অভিযোগ পত্রে আরও জানান, আহব্বায়ক কমিটির এই তিনজন কোনো নিতিমালা অনুসরন না করে ইচ্ছামত মনগড়া ভাবে ভুয়া ও অব্যবসায়ীদেরকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন। যা সম্পুর্ন অনেতিক ও অবেধ। তাদের সাধারন সভা ডাকলে ৪০ জন ব্যবসায়ী উপস্থিত থাকেন না।তারা আমাদের কোন বিচার আচার করেন না বা বাজারে চুরি ডাকাতি হলে তারা এর কোন ভুমিকা পালন করেন না।তারা নিরপেক্ষতা হা্রিয়ে ফেলেছেন,তাই তাদের ডাকে আসতে বা বসতে চাই না।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মমদুদ হোসনে জানান, একটি নিরপেক্ষ গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হওয়ার পরিবেশ প্রশাসন থেকে করে দেওয়া হোক।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো: গোলাম রাব্বী লিখিত  অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়টি শক্তভাবে দেখছি।  


Post a Comment

Previous Post Next Post