মঈনুর রহমান সাহান: দীর্ঘ ১১ বছর পর নতুন কমিটি পেল মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন শেষে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস শহিদকে সভাপতি এবং সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক, কুলাউড়ার বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা ও ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের প্রভাষক ময়নুল ইসলাম সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা কমিটি ঘোষনা করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ।
এর আগে দুপুর পৌনে ২ টায় টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পৌর শহরের ডাক বাংলো মাঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস শহিদের সঞ্চালনায় এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বদরুল ইসলাম বদরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহাব উদ্দিন আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন, কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্মেলনের উদ্বোধক নাহিদ আহমদ, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন। বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট বিএমএ সভাপতি ডা. রুকন উদ্দিন, কুলাউড়া আওয়ামী লীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রিয় কৃষকলীগের সদস্য শাফউল আলম শফি, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, বড়লেখা পৌর মেয়র কামরান আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নিয়াজুল তায়েফ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল। সম্মেলনের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি খায়রুল আলম কয়ছর। সংগঠনের রিপোর্ট পেশ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. জাহাঙ্গির আলম।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহ সকল প্রয়াত নেতাকর্মীদের স্মরণে শোক প্রস্তাব করা হলে প্রস্তাবে সবাই একাত্বতা পোষণ করে সম্মেলনে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়।
