রাজিব হাসান চৌধুরীঃ কুলাউড়া উপজেলার গাজিপুর গ্রামে দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাজিপুর চা বাগানের গুনাইয়া লাইনের মতাহির মিয়ার সর্ব কনিষ্ট ছেলে সাইজুল মিয়া(১২) ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে নিজ ঘরের বৈদ্যুতিক শকে ইন্তেকাল করেন। জানা যায় তার পিতা তাকে মোবাইল চার্জে দিতে বললে সে মোবাইলের চার্জার মাল্টিপ্লাগে লাগাতে গেলে অসতর্কতাবশত সেই মোবাইলের থেক বেরিয়ে আসা তারের শর্ট লাইনের মধ্যে আঙ্গুল লেগে গেলে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে ছিটকে পড়ে চিৎকার করে, তার চিৎকার শুনে তার পিতা দৌড়ে এসে তাকে দ্রুত কুলাউড়া সরকারি হাঁসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইসিজি করতে বলেন, ইজিসি করে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার মৃত্যু হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন অবগত হলে ঘটনাস্থলে এস আই মুহম্মদ খালেক, বাগানের ব্যবস্থাপক কাজল মাহমুদ, মহিলা সদস্য বিন্দা রানী এবং মেম্বার রাম বিলাশ দুষাদ নানকা উপস্থিত থেকে মৃত্যু অনাকাংখিতভাবে হয়েছে নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার মুহম্মদ ইউসুফ এর সাথে আলচনা করে লাশ দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে এই ঘটনার ১ ঘন্টার ভেতর গাজিপুরের মাস্টারদোকান সংলগ্ন সঞ্জয় দেবনাতের বাড়ীতে গাছ পড়ে আরেকটি মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, একই এলাকার মুহম্মদ ওয়াহিদ মিয়া এবং কামাল মিয়া শনিবার সকালে রোজ ৫০০ টাকা হিসেবে সঞ্জয় দেবনাতের বাড়ীতে সকাল নয়টার দিকে ৩ ফুট গুলের কয়েকটি আকাশি গাছ কাটতে যান। ৩ টি গাছ ভালোভাবে কাটতে পারলেও ৪র্থ গাছ কেটে ফেললে গাছের উপর ভারি হওয়ায় উপর নিচের দিকে আর গুড়ি উপরে উঠতে থাকলে নিহতের সহকর্মী ওয়াহিদ মিয়া চিৎকার করে কামাল(মৃত) মিয়াকে সরে যেতে বললে কামাল মিয়া নাকি বোকার মতো তাকিয়ে থাকেন যায়গায় দড়িয়েই এবং সেই গাছের গুড়ি উপরের দিকে উঠতে গিয়ে পাশে থাকা অন্য একটি গাছের ডালে বাড়ি খেয়ে এসে সোজা কামাল মিয়ার মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে ২ ভাগ হয়ে যায় এবং গাছ বাথরূমের টাঙ্কির উপর দাঁড়িয়ে থাকা কামাল কে চাপ দিয়ে মুখ থেতলে দিলে সাথে সাথেই সেখানে তিনি মারা যান।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনকে অবগত করা হলে ঘটনাস্থলে এস আই মুহম্মদ ইয়াসিন দুইজন কনস্টেবল নিয়ে হাজির হয়ে মামলার সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যান।