কী এই ব্যালাস্টিক মিসাইল

কী এই ব্যালাস্টিক মিসাইল

অনলাইন ডেস্কঃ ক্ষমতাধর দেশগুলোর কল্যাণে এখন সবার মুখে মুখে 'ব্যালাস্টিক মিসাইল'। এই আলোচনা ছড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে যে দুটি দেশ তারা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া।

কিছু দিন পরপরই উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করছে। এতে নিয়ম করে কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইলের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা আমেরিকার 'ছাই' করার হুমকিও একাধিকবার দিয়েছেন।
সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া হাওয়াজং-১৫ নামে একটি অন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালায়। ১৩ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনো অংশে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। মিসাইলটি প্রায় ৯৪০ কিলোমিটার দূরে জাপান সাগরে গিয়ে আঘাত হানে।

কী এই ব্যালাস্টিক মিসাইল
ব্যালিস্টিক মিসাইল হল সেই সব ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো শুধু ছুঁড়ে দেওয়ার সময়ের ধাক্কাতেই পথ চলে না। এটি প্রথম ধাক্কায় উঁচুতে ওঠে চলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে।

অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করার পর তা নেমে আসে পৃথিবীর দিকে এবং পূর্ব নির্ধারিত স্থানে আঘাত হানে। প্রথম দিককার মিসাইলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এ-৪। এটি ভি-২ নামেও পরিচিত।
১৯৩০ ও ১৯৪০ এর দশকে ভি-২ এর আধুনিকায়নে ভূমিকা রেখেছে নাৎসী জার্মানি। এতে নির্দেশকের ভূমিকায় ছিলেন জার্মানির এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার ও স্পেস আর্কিটেক্ট ভের্নহার ভন ব্রাউন। ভি-২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৪২ সালের ৩ অক্টোবর। পরে এটি প্যারিসের বিপক্ষে আক্রমণে অংশ নেয়। দিনটি ছিল ১৯৪৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। এর দুই দিন পরেই এটি লন্ডনে আঘাত হানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০০০ এর বেশি ভি-২ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।

প্রথম আন্তমহাঃদেশীয় মিসাইলের নাম আর-৭ সিমাইওর্কা। প্রায় ৩০ দেশে ব্যালাস্টিক মিসাইল আছে। এখনো এর আধুনিকায়ন চলছে এবং নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন দেশ ব্যালাস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে যাচ্ছে। ২০০৭ সালেই প্রায় ১০০টি ব্যালাস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে চীন, রাশিয়ান ফেডারেশন ও ইরানসহ কয়েকটি দেশ।  

Post a Comment

Previous Post Next Post