স্পোর্টস ডেস্কঃ লালবাগের কেল্লার মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর সোজা সরু রাস্তা। এ রাস্তাই চলে গেছে পরীবিবির মাজারে। সেই সরু রাস্তাতেই ব্যাট-বল হাতে নেমে পড়লেন সাকিব আল হাসান-শহীদ আফ্রিদিরা। টিপটিপে বৃষ্টি, নীল আর সাদা পোশাকের ছাত্র-ছাত্রীদের গগনবিদারী চিৎকার, দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। কিছুই থামাতে পারিনি সাঙ্গাকারা-নারিনদের।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান লালবাগ কেল্লার এ রাস্তায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিবরা প্রতিটি বলকেই বাউন্ডারিতে পাঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দর্শকরাও চাচ্ছিলেন, প্রতিটি বলই যেন আছড়ে পড়ে মাঠের বাইরে। তাতে উপস্থিত দর্শকদেরই তো লাভ। কারণ বাউন্ডারির বাইরে অপেক্ষায় থাকা দর্শকরা সাকিব-আফ্রিদিদের পাঠানো সেই বলের মালিক হয়ে যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিপিএলে কোনো ম্যাচ ছিল না। এমন দিনে ওমেরার আয়োজনে ঢাকা ডায়নামাইটস লালবাগ কেল্লায় ভিন্নধর্মী ‘গলির ক্রিকেটের’ আয়োজন করে পুরান ঢাকার সমর্থকদের বাড়তি আনন্দ উপহার দিল।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওমেরা এলপিজি ছিল সাকিবদের প্রতিপক্ষ।
ক্রিকেট খেলে পাশের বাড়ির জানালার কাচ ভাঙার পর বকুনিভরা শাসনেও দমানো যায়নি দুরন্তপনা। বিশ্বক্রিকেটেও আজ যারা শাসন করছেন, তাদের অনেকেই একটা সময় পার করেছেন ‘গলি’ ক্রিকেট খেলে। সেই স্মৃতিই এবার ফিরিয়ে আনলেন আফ্রিদিরা।
সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়ই এ ধরনের ক্রিকেট খেলেই শুরু করেছে। এমন একটি সুযোগ করার জন্য ঢাকা ডায়নামাইটসের সবাইকে ধন্যবাদ। অনেক ভালো একটি আয়োজন। আশা করছি, সামনে এমন আয়োজন আরও দেখতে পাব।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৭ বলে সেঞ্চুরির মালিক সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, ‘এটি শুধু ক্রিকেটই নয়। আমাদেরও সামাজিক জীবন আছে। আমাদের অনেক ভক্ত রয়েছে, যারা কাছ থেকে দেখতে চান। এমন আয়োজনে থাকতে পেরে আমি দারুণ খুশি।’
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের খাবারেও তার কাছে খুব বেশি পার্থক্য নেই। এই ডান-হাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি সব সময়ই বাংলাদেশে খেলতে উপভোগ করি। এটা আমার দ্বিতীয় হোম। আমি এখানে সব সময়ই সম্মান, সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি। এখানে প্রতি বছরই আসতে চাই।’
