কুলাউড়ার এম,এ,গনি কলেজের উন্নয়ন বাধাঁগ্রস্থ

কুলাউড়ার এম,এ,গনি কলেজের উন্নয়ন বাধাঁগ্রস্থ

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে অবস্থিত এম এ গণি কলেজের একটি বহুতল ভবন নির্মাণে বাধাঁ। সরকারী বরাদ্ধ ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার কাজে বাধাঁ হয়ে দাড়িয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আর প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে বৈঠক করেছেন স্থানীয় মুরুব্বি, সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের একমাত্র কলেজ এম এ গণি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে স্থানীয় দু’একজন প্রতিষ্ঠানের বিরোধীতা করে আসছে। তবে সব ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে উপজেলার একটি প্রতিষ্ঠিত কলেজ হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। কিছুদিন আগে বর্তমান সরকারের বিশেষ বরাদ্ধ শেখ রাসেল ল্যাবরেটরি’ হিসেবে লক্ষাধিক টাকার কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রনালয়ের অধিনে শিক্ষাখাতের উন্নয়নে আইসিটি ভবন নির্মানের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এর অংশীদারিত্বে নিজেদের সামিল করতে না পারায় বরাদ্ধ বিনষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে আছেন স্থানীয় জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, মোতাহার হোসেন, আব্দুর নুর চুনু মিয়া, রেনু মিয়া উরুপে বটই মিয়া সহ কয়েকজন ব্যক্তি।

এদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের দোসর ছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এই কয়েকজন দুস্কৃতিকারীদের যোগসাজেসে এলাকার নিরীহ দু’একটি পরিবারের সদস্যকে ব্যবহার করে কলেজ এবং কলেজ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ এনে মৌলভীবাজার আদালত, র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই উদ্দেশ্যমূলক এবং হয়রানীমূলক প্রমানিত হয়েছে। আর বাকিগুলো তদন্তনাধীন। আর প্রত্যেকবার নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারা একটি নিরীহ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য (বাসন্তি রুহিদাস)-দের মামলার বাদি করা হচ্ছে। আর নিজেরা হচ্ছেন মামলার স্বাক্ষী।

উপস্থিত স্থানীয়রা আরও বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বিনষ্ট করার জন্য এবং বর্তমান সরকারের শিক্ষাখাতের উন্নয়নকে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য এলাকার নিরীহ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করছে।

এদের দৌড়াত্ম এতটাই যে বিগত ইউপি নির্বাচনে  নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মমদুদ হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আলম, কলেজের গভর্নিং বডি’র সভাপতি গোলাম সারওয়ার খানকে ঘায়েল করতে ডাকাতি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলার আসামী করে। তাদের প্রতিবাদ করতে গেলেই সংখ্যালঘু ওই নিরীহ হিন্দু পরিবারকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে।

এহেন পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের (১৯ নভেম্বর) একটি বৈঠকে মিলিত হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মোবাইল ফোনে অভিযোগকারীরা উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. মমদুদ হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এড. খালেদ লাকি,বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ কেরামত আলী, কলেজের গভর্নিং বডি’র সভাপতি গোলাম সারওয়ার খান, অধ্যক্ষ শাহ আলম সরকার, সাবেক মেম্বার আব্দুল মন্নান, মো. সয়ফুল হোসেন, বর্তমান মেম্বার মোস্তফা কামাল, কলেজের গভর্নিং বডি’র সদস্য তারা মিয়া, মো. শামছুল হোসেন, শ্রীপুর ঈদগাঁ সেক্রেটারী মো. শামছুল হোসেন, দাউদপুর মসজিদের মোতাওয়াল্লী তবারক হোসেন খান, যুবলীগ নেতা লিক্সন আহমদ, শামীম আহমদ, আব্দুল লতিফ, কলেজের স্থায়ী দাতা একেএম আজাদ, কলেজের গভর্নিং বডি’র সাবেক সদস্য কবির মিয়া, মুরুব্বি ইউনুছ শাহ, ইউনুছ মিয়া, হারুন শাহসহ শতাধিক স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

Post a Comment

Previous Post Next Post