আকরাম চৌধুরীঃ মহাজোট সরকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০শয্যায় উন্নীতকরন। সরকার তাদের এই দাবীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১শয্যা থেকে ৫০শয্যায় উন্নীতকরন করেছেন।
২৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য স্থানীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস ।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৯কোটি ৬০লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্প্রসারণ ভবন নির্মান করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্টানে সিলেট জেলা সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায়ের সভাপতিত্বে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার নিমিত্তে ৬(ছয়হাজার) জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে দিয়েছেন, বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নতুন ভবন সম্প্রসারিত করা হচ্ছে, দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে, আগামীতে আওয়ামীলীগ সরকারকে নির্বাচিত করে দেশ এবং জনগনের সেবা করার জন্য সুযোগ করে দেয়ার আহবান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১কে বাস্তবায়িত করার লক্ষে স্বাস্থ্য সেবাকে গতিশীল এবং সকল মানুষ যাতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে আন্তরিক হয়ে কাজ করার জন্য সকল ডাক্তার কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনুরোধ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডাঃ মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সহকারী পরিচালক স্বাস্থ্য সিলেট বিভাগ ডাঃ কমল রতন সাহা, নির্বাহী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী সিলেট বদরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুর রহমান রুমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা বেগম শ্যামা, ফেঞ্চুগঞ্জ থানা ইনচার্জ নাজমুল হাসান, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক রুহেল আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শওকত আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুহিব উদ্দিন বাদল, ডাঃ জাকির হোসেন, ডাঃ কামরুজ্জামান, ডাঃ কাজী আফজাল হোসেন, পূব গৌরিপুরের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস, বিজন কুমার নাথ, আব্দুল আওয়াল কয়েস, মাহফুজুর রহমান জাহাঙ্গীর, বিজয় রঞ্জন দে প্রমুখ।