কুলাউড়া-বড়লেখা সড়কের গর্তে ট্রাক আটকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কুলাউড়া-বড়লেখা সড়কের গর্তে ট্রাক আটকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
কুলাউড়া-বড়লেখা সড়কের গর্তে ট্রাক আটকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন


নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কের গর্তে পড়ে মালবাহী ট্রাক আটকে যাওয়ায় বুধবার রাত থেকে জেলা সদরের সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রাক সরানো সম্ভব না হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক সড়কের হাতলিঘাট নামক স্থানে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১১টা থেকে তিনদফায় ৫টি ট্রাক আটকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের হাতলিঘাটসহ অন্তত ১০টি স্থানে বন্যার পানি থাকায় সড়কে অসংখ্য স্থানে ছোট বড় কয়েকটি গর্তের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। এসব গর্তে প্রায়ই ছোটবড় গাড়ি আটকা পড়ছে। গত দুই তিন দিন আগে সড়ক থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছিল।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে মালবাহী দুইটি ট্রাক সড়কের গর্তে আটকা পড়ে। এগুলো বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সরানোর পর আবার বেলা ১২টার দিকে আরো দুইটি মালবাহী ট্রাক একই স্থানের গর্তে আটকা পড়ে। ফলে সড়কের উভয় পার্শে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে একটি ট্রাক সরানো গেলেও রাত ৮টার দিকে আরো একটি গাড়ি গর্তে আটকা পড়ে। এতে করে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে রড বোঝাই ট্রাক নিয়ে বড়লেখায় যাচ্ছিলেন ট্রাকচালক আব্দুল কাদির। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘ভোররাত ৫টা থেকেই এখানে আটকা পড়েছি। দুইটি ট্রাক সরানো হলেও রাস্তার অবস্থা দেখে ঝুঁকি নেইনি। দুপুরে আরো দুইটি ট্রাক গর্তে পড়ে। সড়কের অবস্থাও খারাপ। খুব বিরক্ত লাগছে।’

বড়লেখা ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই জহিরুল ইসলাম ট্রাক আটকে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যানজট নিরসনে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। দুইটি ট্রাক আটকা ছিল। এরমধ্যে একটা উঠানো হয় সন্ধ্যায়। আবার একটা ট্রাক গর্তে পড়ে। ধীর গতিতে ছোট গাড়ি চলছে। বড় গাড়ি বন্ধ রয়েছে।’

সওজ মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ঘটনাস্থলে আমার লোকজন আছে। ট্রাক সরানো হলে শুক্রবার থেকে সড়কে কাজ শুরু হবে।’ সুত্রঃ সিলেটটুডে

Post a Comment

Previous Post Next Post