কুলাউড়ার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এমপির নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা বিতরণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখে তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আবদুল মতিন এবং ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী বৃত্তি গ্রহনের জন্য সকাল ১১ টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তার উদ্যোগ না পেয়ে হতাশ হোন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকবৃন্দ। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন স্থানীয় সাংসদ আব্দুল মতিন। তিনি ঘটনা উপলব্ধি করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন তিনি নেই। এতে তিনিও ক্ষুব্ধ হোন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বীর উপস্থিতিতে তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি বিতরণ করেন। অনুষ্টান পরবর্তীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এর আগে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার্র জে.এস.সি, এস.এস.সি, আলিম ও ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির কৃতি শিক্ষার্থীদের সরকার প্রদত্ত (সেকায়েফ) বৃত্তির টাকা ও সনদ গ্রহনের জন্য আমন্ত্রণ জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে এসে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা এসে দেখেন সেখানে কোন শৃঙ্খলা নেই, নেই কোন বসার ব্যবস্থা। কিভাবে টাকা বিতরণ হবে, কখন বিতরণ হবে কেউই বলতে পারছেন না। ওই সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. আব্দুল মতিন (এম.পি), ইউ.এন.ও চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বীসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হোন। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন না। চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

সাংসদ আব্দুল মতিন সেসময় এই কর্মকর্তার গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের মহতি উদ্যোগকে নস্যাত করার দায়ে এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার জানান, শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আমি উপস্থিত ছিলাম। তাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্ধারিত অনষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী জানান, দাপ্তরিক কাজে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসের বাইরে থাকতে পারেন তবে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিলো। উনি উপস্থিত থাকলে সরকারের এমন মহতি কাজের ব্যাপারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরলে শিক্ষার্থীরা আরো বেশী অনুপ্রাণিত হতো।

Post a Comment

Previous Post Next Post