বন্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতি ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা

অনলাইন ডেস্কঃ মৌলভীবাজারে কয়েক দফা বন্যায় মানুষের বাড়িঘরসহ অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বাদ পড়েনি হাওরপাড়ের স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দিরসমূহও। সময়ের ব্যবধানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও অনেক পরিবার নিজ বাড়িতে যেতে পারছে না এখনও। আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে শত শত পরিবার। বন্যার পানিতে এখনও ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে আছে। পানিতে তলিয়ে থাকা ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ২৫টি বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু হয়েছে। এছাড়া ১২টি বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র চালু রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এ জেলায় বন্যার কারণে ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানির নিচে রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ২৫টি বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ২টি, রাজনগরে ১৪টি, কুলাউড়ায় ৩৮টি, জুড়ীতে ১৫টি ও বড়লেখায় ১৯টি। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সদর উপজেলার ২টিতে পাঠদান চলছে, কুলাউড়ায় ৪টিতে, জুড়ীতে ৫টিতে, রাজনগরে ১৪টিতে। তবে বড়লেখোয় এখন পর্যন্ত ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতেও পাঠদান করা সম্ভব হয়নি।

বন্যার পানির কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বন্যার কারণে অনেক টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে টয়লেটগুলোরও। কিছু স্কুলের দরজা পুরোপুরি ও আংশিকভাবে নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পানিতে স্কুলের দেয়ালের রং নষ্ট হয়ে যায়। অনেক স্কুলের নিচের মেঝে ভেঙ্গে গেছে। আবার অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার আলী আহসান জানান, বন্যার পানিতে যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো তলিয়ে গিয়েছিলো, পানি কমার ফলে সেসব বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করা হবে। পানি কমায় স্কুলগুলো ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। যাতে কোনো ধরণের জীবাণু না থাকে। বন্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্কুলের যে ক্ষতি হয়েছে তার সমাধান করা হবে। স্কুলে পাঠদানের পরিবেশ অতি দ্রুততার সাথে ফিরিয়ে আনা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post