বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত দু’টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবদুলাল ধর ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ দাস তালুকদারের নেতৃত্বে পুলিশ উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের গাংকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে-বরিশাল জেলার মৃত কাশেম পেশকারের ছেলে সেলিম পেশকার (৩৩), ময়মনসিংহ জেলার ইসরাফিল মিয়ার ছেলে শেখ কামাল (২৩), ঢাকা জেলার বিক্রমপুর উপজেলার মো. আব্দুলের ছেলে মো. নুরুল আমিন (১৯), ঢাকা জেলার লালবাগ থানার বাসুদেবের ছেলে নয়ন দেব (২২), বি-বাড়ীয়া জেলার মৃত ফুল মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া প্রকাশ আকাশ (২৭) ও ঢাকা মিরপুরের রাজু মিয়ার পুত্র মো. সাজু মিয়া (১৯)। এদের গ্রামের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় হলেও তারা বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছে। দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ও ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা (নং-১৬) দায়ের করেছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের গাংকুল এলাকার আব্বাস আলীর বাড়ির সামনে অপরিচিত ১০/১২ জন যুবক সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরা করছিল। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাসীর সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে লোহা কাটার মেশিন, একটি চিরাপাঞ্জা, একটি লম্বা দা, ১০ ইঞ্চি একটি চাকু ও দুইটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুশিলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাথে থাকা কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে যায়। এরা সকলেই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। আজ (মঙ্গলবার) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো. আবু ইউছুফ জানান, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ডাকাতরা অনেক সময় তাদের প্রকৃত নাম-ঠিকানা দেয় না। এদের সকলের বর্তমান ঠিকানা ঢাকায়। তাই ডিএমপির (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্রকৃত নাম ঠিকানা ও আত্মীয় স্বজনদের বিষয়ে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।’