অনলাইন ডেস্কঃ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে গত সোমবার বন্দুকের গুলিতে নিহত লিটু ছাত্রলীগের কর্মী নয় বলে দাবি করেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিহত ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ লিটু আসলে ছাত্রলীগের কর্মীই নয়। গোলাগুলিতে নিহত লিটু একজন অছাত্র এবং মোবাইল দোকানের স্বত্বাধিকারী বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে নিহত লিটুর বোন রুমি বেগম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। তার লেখা খোলা চিঠিটি হুবুহু নিচে তুলে ধরা হল।
#আমি #রাজনীতি করিনা আর তাই রাজনীতি নিয়ে ও আমার মাথা ব্যাথা নেই। #ভাবছিলাম লিটু হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু ই লিখবো না কিন্তু পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে না লিখলে নিজের বিবেকের কাছে ছোট হয়ে যাব তাই লিখলাম। কারন সে আমার ভাই আর রক্তের সম্পর্ক জড়িত! জানিনা কজনে আমার লিখা টা পড়বেন!?
গতকাল যখন লিটুর লাশ টা দেখি ফেসবুকে তখন বুক ফেটে কান্না আসছিল। অনেক কাঁদছি আমি আর এখন ও কাঁদছি। এমন নির্মম নিষ্ঠুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড খুব কম ই দেখা যায়। কাল যখন নিউজ আসতে শুরু হলো দেশি-বিদেশি অনলাইন নিউজপেপার, টিভি চ্যানেল আর ফেসবুকে সবখানেই একটা কথাই স্পষ্ট করে আসছে আর এখনো আসছে যে, লিটু ছাত্রলীগ কর্মী ছিল। আর এই কথাটা মিডিয়া জগতে পরিস্কার ভাবে সবাই প্রচার করেছেন সাংবাদিক বলেন আর সাধারণ মানুষ বলেন। আমার ও একি কথা যে, লিটু ছাত্রলীগ এর কর্মী ছিল আর তা যে গ্রুপ ই হক নাম দিয়ে কি বা আসে যায়।
আসল কথা বিয়ানীবাজারের আপামর জনগণ সবাই সারাদিন একই কথা বলে গেছেন। তবে যারা বলেন নি তাদের দিকে সবার #আংগুল আর তাঁরা কে বা কারা স্পষ্ট করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তবে আসল ঘটনা শুরু হলো লিটুর জানাযার নামাজের পুর্ব মুহুর্ত থেকে। বিয়ানীবাজারের বর্তমান #নেতা ও #নেতাদের পেছনের নেতারা স্টেটাস দিতে শুরু করলেন যে-কসবা বাঘর টিলা নিবাসী খলিল উদ্দিন এর ছেলে লিটু আজ সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেছে। উনারা ছাত্রলীগ কর্মী নামটা কেটে দিলেন। কি চমৎকার বহিঃপ্রকাশ উনাদের ওয়াও!! ওয়াও!! বেঁচে যখন ছিল তখন তো সব মিছিল মিটিং এ ঠিক অংশ গ্রহন করাতেন আর মরে গেল তখন চাঁচা আপন জান বাঁচা বলে বাচাইতেছেন প্রান। বেঁচে থাকলে ছাত্রলীগ এর #কর্মী আর মরে গেলে #সন্ত্রাসী!?
উনাদের কথার সাথে মিল রেখে কাল রাতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় -লিটু #বহিরাগত সন্ত্রাসী ছিল সে নিজেই নিজের গুলিতে মারা যায়-হাউ পেথেটিক!!
উনাদের কথায় মনে হয় -লিটুর পিছনে দুইটা হাত ছিল আর সেই হাত দিয়ে নিজেকে মাথার পিছনে গুলি করে চোখ সহ মগজ বের করে মরে যাবার পর বন্ধুক টা বন্ধুদের হাতে দিয়ে মোবাইল সহকারে বলেছে তোরা পালাই যা।কি হাস্যকর প্রেস বিজ্ঞপ্তি!!হা হা বোবার মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম।
এ দিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক জাকির হোসেন বলেছেন-লিটু ছাত্রলীগ কর্মী তার সুষ্ঠু বিচার হবে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি সাহেব বলেছেন-আমার উপর সহানীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ের বড় বড় নেতারা চাপ দিচ্ছেন মামলার সঠিক তদন্ত না করতে।তবে উনি বদ্ধপরিকর তদন্ত করবেন ই,তবে শেষ পর্যন্ত উনি কতটা সফল হবেন সেটা চিন্তার বিষয়।আজ সকালে বিয়ানীবাজার বাজার অনলাইন পেপার এ জানলাম।
আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দুইজন প্রতিনিধির একজন ও এখন পর্যন্ত মন্ত্রীর পক্ষে কোন শোক প্রকাশ করতে দেখিনি।আর আমাদের মাননীয় মন্ত্রী সাধারণ মুদীর দোকান থেকে শুরু করে পানসুপারির দোকান ও উদ্বোধন করে থাকেন ।
আর লিটু উনার কর্মী পাশাপাশি আত্মীয় ও। এ জায়গায় উনার নিরবতা জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
আমি বিয়ানীবাজার বাসীদের উদ্দেশ্য বলতে চাই-দলমত নির্বিশেষে লিটুর হত্যা কারী দের আসল মুখোশ উন্মোচন করতে এগিয়ে আসেন জনমত তৈরি করেন।সে তার মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল সেই মা এর জন্যে সত্যের সাথে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসেন। নোংরা পলিটিক্সের স্বীকার লিটু আমার ছোট ভাই কারো হয়তো বন্ধু সবচেয়ে বড় কথা সে বিয়ানীবাজারের সহানীয় ছেলে তার মৃত্যুর পরবর্তী নাটকে আপনারা শরীক হবেন না।