কুলাউড়ায় মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ২০-২৫ টি গ্রাম প্লাবিত

মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ২০-২৫ টি গ্রাম প্লাবিত
বিশেষ প্রতিনিধিঃ শেষ রক্ষা পেল না কুলাউড়া উপজেলার মনু নদীর ঝুঁকিপূর্ন বাঁধের। রাতভর চেষ্টা করার পরদিন আজ (৪ জুন) প্রায় ৩০০ ফিটেরমত অংশ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে গেছে ২০-২৫টি গ্রাম। সাথে বন্যার পানি হানা দিয়েছে পাশ্ববর্তী কমলগঞ্জ উপজেলায়। ইতি মধ্যে কয়েকশত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নদী পারে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় ভেসে গেছে ধান, ঘরবাড়ি, মুরোগসহ গুরুত্বপূর্ন অনেক কিছু।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো:গোলাম রাব্বী।

এদিকে পানি উন্নয়ন র্বোডের গাফিলতির কারণে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নে মনু প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকায় নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাহাদাৎ হোসেন গুরুত্বই দেননি ওই ঝুঁকিপূর্ন স্থানটাকে।

অন্যদিকে ওই এলাকার স্থান ঝুঁকিপূর্ন নয় এমন বক্তব্য দেন বিভিন্ন গনমাধ্যম। বাঁধ ভাঙ্গার আগে সাংবাদিকদের জানান নিশ্চিন্তপুরে ওইস্থান নিয়ে খুব উদ্বেগের বিষয় না। আমি সকালে সরেজমিন পরিদর্শণ করে এসেছি। একটুপানির ফ্লো ছিলো।

স্থানীয়চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, উপজেলার হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, মাদানগর, ভূঁইগাঁও, আলীপুর, দত্তগ্রাম, সোনাপুর, ইসমাইলপুর, রনচাপসহ কমপক্ষে ২-২৫টি গ্রামে প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা আছে।

মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ২০-২৫ টি গ্রাম প্লাবিত
এদিকে মনু নদীর ৩৯টি স্থানকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু জৈষ্ঠ্যমাস অতিবাহিত হতে চলেছে, তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র বিজয় শংকর চক্রবর্তীর জানান,যে স্থানে ভেঙ্গেছে এর পাশে একটি পুকুর ছিলো। পানি বৃদ্ধির আগে ইউএনও স্যারসহ চেষ্ট করেছি ভরাট করতে কিন্তু মালিক পক্ষ দেয়নি। যার কারণে আমাদের কার্যক্রম শক্তভাবে করা যায়।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো:গোলাম রাব্বী জানান, প্রায় ৩০ ফুটবেয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে দুইটি ইউনিয়নের বেশ ক্ষতি হবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। ইতি মধ্যে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ত্রান প্রদান করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post