অনলাইন ডেস্কঃ ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা পৌরশহর ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৩ জুন) সকাল বেলায় ষাটমা নদী রক্ষা বাঁধের দুটি স্থান ভেঙে এবং নিকড়িছড়ার পানি উপচে পড়ে শহর ও বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয় পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা।
জলাবদ্ধতার কারণে শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, এছাড়াও পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন পৌরসভার প্রায় ছয় হাজার মানুষ।
শহর ও আশপাশের বাড়িঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি আর শনিবার রাত পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
শনিবার ভোর থেকে বড়লেখা উপজেলা ও সীমান্তের ওপারের পাহাড়ি এলাকায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
সকাল নয়টা পর্যন্ত টানা এ বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢল নামে ষাটমা নদী ও নিকড়ি ছড়ায়। সকালে বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ এলাকা ও ষাটহাল এলাকায় নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে শহরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। সেইসাথে নিকড়িছড়া উপরেও পানি ঢুকে শহরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড়লেখা পৌরসভার হাজীগঞ্জ বাজার, পানিধার, গাজিটেকা, বাঁশতলা, ষাটহাল, আদিত্যেরমহাল, বারইগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ও অন্তত এক হাজার ২০০টি বাসাবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার কেন্দ্রস্থল হাজীগঞ্জ বাজারের তিন শতাধিক দোকানে পানি উঠেছে।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌলভীবাজার-কুলাউড়া-বড়লেখা-বারইগ্রাম সড়কের বড়লেখার কাঁঠালতলি থেকে পানিধার বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এবং বড়লেখা বাজার থেকে বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ডুবে থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়াও উপজেলা কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকা, নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসও ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখার সময় পর্যন্ত পৌরসভার সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, জলাবদ্ধতা স্থির আর প্রায় সব ধরণের যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, ‘ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পৌরসভার রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। আমি পানিবন্দী বিভিন্ন এলাকাগুলো ঘুরে দেখেছি। পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’