বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ৩৮তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবে বুধবার (০৩ মে) থেকে শুরু হওয়া বিজ্ঞান মেলায় উপজেলার ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা অভিনব আবিষ্কারে চমক দেখিয়েছে।
২দিন ব্যাপী এ বিজ্ঞান মেলায় উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজসহ মোট ১৩টি স্টলে অসংখ্য ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা অংশ নিয়েছে।
মেলায় ভূমিকম্প সতর্কীকরন সংকেত (শব্দ) ও ভূমিকম্প সতর্কীকরন সংকেত (আলো), হাইগ্রোমিটার, ওয়াটার এলার্ম, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নৌকার বিপদ সংকেত, লেজার সিকিউরিটি সিস্টেম, ওয়াটার রকেট ও বায়ু বিদ্যুৎ উদ্ভাবন প্রদর্শন করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।
বুধবার (০৩ মে) উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমীর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. প্রণয় কুমার দে, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরবিন্দ কর্মকার, সাংবাদিক আব্দুর রব, প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান চুন্নু, মাজহারুল ইসলাম, দীপক নন্দী, সামছুল ইসলাম পুতুল।
বিজ্ঞান মেলায় ভূমিকম্প সতর্কীকরন সংকেত (শব্দ) তৈরি করেছে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসেন হিমেল ও ভূমিকম্প সতর্কীকরন সংকেত (আলো) যন্ত্র তৈরি করেছে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিষ কুমার দাস।
এছাড়াও চোর ধরার জন্য লেজার সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি করেছে বড়লেখা পিসি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এছাড়া একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রান্ত সরকার ওয়াটার রকেট ও তাওহিদ মনোয়ার বায়ু বিদ্যুৎ উদ্ভাবন করেছেন।
এছাড়াও বিজ্ঞান মেলায় পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করেছে শিক্ষার্থীরা।
বায়ু বিদ্যুৎ উদ্ভাবক তাওহিদ মনোয়ার জানায়, ‘যান্ত্রিক শক্তি ও চৌম্বক শক্তির সমন্বয়ে তড়িৎ শক্তি বা বিদুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। কিন্তু যান্ত্রিক শক্তি উৎপন্ন করতে জ্বালানির প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আমি যান্ত্রিক শক্তি ও চৌম্বক শক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জ্বালানী হিসাবে প্রকৃতি থেকে বায়ু ব্যবহার করেছি এবং এর থেকে আমি বিদ্যুৎ শক্তির উৎপন্ন করেছি। এতে আমার প্রয়োজন হয়েছে একটি ডায়নোমো ও টারবাইন।’
ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাওহিদ বলে, ‘বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাকে কোন ধারনের জ্বালানী ব্যবহার করতে হয়নি। কিন্তু আমি বিদ্যুৎ শক্তি তথা এক প্রকার জ্বালানী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’
বড়লেখা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব বলেন, ‘নিয়মিত এভাবে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে অনন্য অবদান রাখবে। আর শিক্ষার্থীদের এসব উদ্ভাবন যন্ত্র বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ বৃদ্ধি পাবে।’