স্টাফ রিপোর্টার: কুলাউড়ায় শাহ সৈয়দ রাশিদ আলী (রহ:) ৩২তম ঈসালে সওয়াব মাহফিল উপলক্ষে রাশিদ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লংলা রাশিদিয়া শমসেরীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ড্রেস বিতরণ এবং অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসার হলরুলে স্কুল ড্রেস ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি অধ্যাপক ডা: রুকন উদ্দিন আহমদ।
রাশিদ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির খাঁনের সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা সাংবাদিক মোক্তাদির হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, শিল্পপতি হাজী নজিবুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদ, কুলাউড়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক অজয় দাস, যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন মোহাম্মদ মনসুর ও আবুল বাশার, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল মতিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতলিব, যুবলীগ নেতা শ্যামল দত্ত, কুলাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাশিদ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার, সহকারী শিক্ষক সৈয়দা মজিরুন বেগম, দিলারা বেগম, লংলা রাশিদিয়া শমসেরীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপার হাফিজ আব্দুর নুর, সহকারী সুপার হাফিজ আব্দুল মতিন, রাশিদ আলী ফাউন্ডেশনের সদস্য সাবেক ইউপি সদস্য রানু বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য নাজমিন আক্তার সেবী, সৈয়দ আলী আহমদ, সৈয়দ ইয়াছিন আলী, পারুল মিয়া, শিক্ষার্থী লিছমা বেগম, ফটোগ্রাপার রিয়াজ আহমদ, তসিম আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটা জাতি উন্নত হতে হলে শিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতী উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেবা না। মানসম্মত শিক্ষাই পারে দেশ ও দেশের জনগণের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে। শিক্ষিত জাতি গড়তে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষানুরাগীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। কারণ শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে লেখাপড়া করছে কিনা সেদিকে অভিভাবদের নজর রাখতে হবে। সৈয়দ রাশিদ আলী (রহ:) স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, রাশিদ আলী যেমন আলেম ছিলেন তেমনি তিনি ছিলেন একজন দানবীর ব্যাক্তি। ছাত্রবস্থা থেকেই তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। একসময় আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকলেও তিনি এলাকা মানুষের পাশ থেকে সরে যান নি। আজীবন সাধ্য অনুযায়ী মানুষের সেবা ও সাহায্য করে গেছেন।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন রাশিদ আলী (রহ:) ভাতিজা হাফিজ আব্দুল কাদির হেলালী।