স্টাফ
রিপোর্টারঃ এক সময়ের কুলাউড়ার বিখ্যাত বাজার
গাজীপুর চৌমুহনীতে গত ২৬/০৫/২০১৭ তারিখ শুক্রবার সকালে, বাজারের একটি সেলুনে দোকানদার ও কাস্টমামের উপর লোকাল কতিপয় বখাটে
সন্ত্রাসীর হামলায় এলাকাবাসীর উত্তপ্ত আর শক্ত অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, ৪ নং জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রমজান আলী এবং
চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ কমরুর মধ্যস্থতায় বসা বিচারে, সন্ত্রাসীদের অনুপস্থিতিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করলে প্রসাশন এর পক্ষ
থেকে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা পিপি এম হাজির হয়ে পরিস্তিতি
নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ঘটনার
সুত্রপাতঃ সরেজমিনে জানা যায় গাজীপুর চৌমুহনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ৭ নুং কুলাউড়া
ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুবের আহমদ খানের মার্কেটের, সেলুন ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে শুক্রবার সকালে ৪-৫ জন কাস্টমার, সিরিয়াল অনুযায়ী অপেক্ষারত থাকা অবস্থায় এলাকার কুখ্যাত বখাটে
সন্ত্রাসী কয়সর মিয়া এবং আলাউদ্দিন এসে বলে আমাদের চুল কেটে দে । তখন নাপিত সুমন
বলে সিরিয়াল ছাড়া হবেনা, একথা বলার সাথে সাথে সন্ত্রাসী
কয়সর মিয়া বলে আমাদের কোন সিরিয়াল লাগেনা বলে চেয়ারে বসা অর্ধেক শেভ করা এক কাস্টমার
কে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিলে, সেই কাস্টমার প্রতিবাদ করলে
তাকে বেদম মারপিট করতে থাকে। কাস্টমার কে মারপিট করতে দেখে নাপিত সুমন প্রতিবাদ করলে
তাকেও মারপিট করে দোকান থেকে বাহির করতে চাইলে দোকানে থাকা আরো কাস্টমার সেই বখাটে
সন্ত্রাসীদের দোকান থেকে বাহির করে সাটার নামিয়ে দিলে রাস্থায় দাঁড়িয়ে তারা অকথ্য
ভাষায় গালি গালাজ করে। ঘটনা স্থলে থাকা বাজার সভাপতি মুহম্মদ খুরশিদ আলম বখাটেদের
বারবার বলার পরেও যখন তারা থামতে চাচ্ছেনা তখন সেখানে ছুটে আসেন, সাংবাদিক সাপ্তাহিক কুলাউড়ার সংলাপ, দৈনিক প্রিয় কুলাউড়া, অনলাইন
নিউজ পোর্টাল ডেইলি বিডি মেইল ও বিডি ভিউ ২৪ এর চিপ রিপোর্টার রাজিব হাসান চৌধুরী।
কিন্তু সন্ত্রাসীরা এতো উস্রিংখল ছিলো যে উনাকেও কেয়ার না করে চিৎকার করে বলতে থাকে
বের হয়ে আয় নাপিতের বাচ্চা তকে আয় কুপিয়ে টুকরা টুকরা করবো। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক
হলে এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়িরা তড়িৎ এক হয়ে অবস্থান নিলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে।
ঘটনার পর পর মেম্বার রমজান আলী ঘটনাস্থলে এসে রাতে চেয়ারম্যান কমরু সহ সমাধানের সময়
দিলেও দেখা যায় বিকেল বেলা বখাটে সন্ত্রাসীরা “শ” খানেক সন্ত্রাসী আর বখাটে ছেলেপেলে নিয়ে বাজারে শোডাউন দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে বাজারের সভাপতি খুরশিদ আলম, সেক্রেটারি জেবলুর রহমান, ছাত্রনেতা
জাবের আহমদ খান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ছাত্রনেতা জিয়াউল হক্ব সাহান ওসি তদন্ত বিনয়
ভূষণ রায়ের সাথে দেখা করলে তিনি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন এনং সর্বাত্বক সাহায্যের
আস্বাস দেন।
রাতে নির্ধারিত সময়ে এলাকার হাজারো মানুষ, মেম্বার, চেয়ারম্যান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হলে সন্ত্রাসী বখাটেদের পরিবার তাদের সন্তানদের নিয়ে হাজির হয়নি যার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম কে মুটোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করলে ১০ মিনিটের ভেতর তিনি ঘটনাস্থলে হাজির হন। উপস্থিত জনতাকে ঠান্ডা করতে উনি হ্যান্ড মাইকে উনার সন্ত্রাসবিরোধী সন্ত্রাস নির্মূল জ্বালাময়ী বক্ত্যব্যে দিতে থাকলে রাত ১২ টার দিকেও হাজারো মানুষের ঢল নামে গ্রামের বাজারে এবং উৎফুল্ল জনতার প্রানে ফিরে আসে স্বস্থির নিঃশ্বাস। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম গাজিপুরবাসিকে আশ্বস্ত করে বলেন যে আপনাদের সাথে আমার দূরত্ব হয়ে যাওয়ায় এলাকায় আজ এই অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে যার দায়ভার আপনাদের নয় আমার। বিস্তারিত নিচের লাইভের উনার বক্ত্যবে আরো স্পষ্ট হবেন।
একজন সাংবাদিক হিসেবে যে জ্ঞান আমাদের আছে তার থেকে বলবো যে বহুল আলোচিত এসপি বাবুল আক্তারের মতো সন্ত্রাসীদের কাছে দিন দিন এক আতঙ্ক হয়ে উঠছেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম। সাম্প্রতিক সময়ে কুলাউড়া উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে দক্ষতার সহিত ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশ পুলিশ সিলেট বিভাগের সেরা অফিসার ইনচার্জ হিসেবেও তিনি নির্বাচিত হন।
জানা যায় গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে তিনি কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত কুলাঊরায় সন্ত্রাসের বিরুদ্বে উনার যে অবস্থান তা কুলাউড়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।
ট্যাগ »
কুলাউড়া