কুলাউড়ায় শ্যালিকাকে হত্যা করলো দুলাভাই

কুলাউড়ায় শ্যালিকাকে হত্যা করলো দুলাভাই
স্টাফ রিপোর্টার: বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে এসে স্ত্রী না যাওয়ায় শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রী ও ৬ মাসের শিশু সন্তানকে আহত করে স্বামী মো: সালাউদ্দীন (৩২) নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গ্রামবাসী পাষণ্ড স্বামী মো. সালাউদ্দিনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার(২৩ মে) সকাল ১০টায় কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে। গ্রামবাসী জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো: আলাউদ্দীনের ছেলে মো: সালাউদ্দীন বছর দু’য়েক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের মৃত মছলু মিয়ার মেয়ে রায়না বেগমকে (২২)। তাদরে ঘরে মাছুম মিয়া নামে ৬ মাসের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহে স্ত্রী রায়না বেগম পাবই গ্রামে বাবার বাড়ি এসে কমলগঞ্জে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিল না। গত ২১ মে রায়নার শ্বশুর মো: আলাউদ্দীন নিজে এসে পুত্রবধূকে নিতে চাইলে সে স্বামীর বাড়ি ফিরতে রাজি হয়নি। তখর শ্বশুর নিজেও হুমকি ধামকি দিয়ে ফিরে যান। সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় আবার সালাউদ্দীন নিজে শ্বশুর বাড়ি এসে রাত্রি যাপন করে মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে যেতে চায়। তখন স্ত্রী রায়না বেগম স্বামীর সাথে যেতে চায়নি বলে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। এই তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী সালাউদ্দীন হাতে থাকা ছোরা দিয়ে কুপিয়ে শ্যালিকা মনি বেগম (১৬) কে হত্যা করে। আর স্ত্রী রায়না ও শিশু সন্তান মাসুককে আহত করে ঘরের ভেতর গিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসী এসে পাষণ্ড স্বামীকে আটকে রাখে। আহত স্ত্রী রায়না ও শিশু সন্তান মাসুমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। রায়নার মা রাবেয়া বেগম ও বড় ভাই মজিদ মিয়া জানান, ঘটনাটি কুলাউড়া থানাকে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে পুলিশ এসে আহত স্বামী সালাউদ্দীনকে আটক করে। হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত (বাচ্চু) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনিও ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। কুলাউড়া থানার ওসি মো: শামছুদ্দোহা পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত ছোরাও জব্দ করা হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post