নববর্ষের ইলিশ হতে সাবধান!

নববর্ষের ইলিশ হতে সাবধান!
অনলাইন ডেস্কঃ ইলিশ ছাড়া বাঙ্গালিদের প্রাণের উৎসব নববর্ষ উদযাপন যেনো কল্পনাই করা যায় না। আর তাই বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের প্রধান অনুষঙ্গ ইলিশের এই ‘নগরকেন্দ্রিক’ চাহিদাকে পুঁজি করে ফায়দা লুটছেন পাইকারি ও খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা। সিলেটে ইলিশের দাম সপ্তাহ খানেক আগের চেয়ে কিছু বাড়লেও গতবারের তুলনায় এবারের দাম মোটামুটি কম বলে মনে করেছেন সিলেটের ক্রেতা এবং ব্যাবসায়ীরা।

সিলেটের টুকেরবাজার এবং কাজীরবাজার মাছের বাজার ঘুরে জানা গেছে, এবার এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম প্রায় ১২০০ টাকা মাত্র। ৪০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রী হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম বলে মনে করছেন পাইকারী ও খুছরা বিক্রেতাসহ ক্রেতারা।

দাম তুলনামূলক কম এবং আকাশ্চুম্বী না হওয়ার পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। বাজারে যে ইলিশগুলো তাজা ইলিশ কিংবা পদ্মার ইলিশ বলে বিক্রি হচ্ছে আসলে সেগুলো আসলেই কি তরতাজা কিংবা পদ্মার ইলিশ কি না তা নিয়ে নানান অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধান করে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে যে ইলিশগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা আসলে গতবছরের হিমাগারে (কোল্ড স্টোরেজ) সংরক্ষিত করে রাখা ছিল। ১লা বৈশাখ সামনে রেখে যেসব পাইকারী বিক্রেতারা হাজার হাজার টাকার ইলিশ মওজুদ করেছিলেন, তাদের এখন দিশাহারা অবস্থা। তরতাজা ইলিশ বলে ক্রেতারা যে ইলিশ কিনছেন তা এক বছরের পুরনো।

তাছাড়া বাড়ী বাড়ী গিয়ে অনেক খুচরা বিক্রেতারা পদ্মার ইলিশ, পদ্মার ইলিশ বলে যে ইলিশ বিক্রি করছেন সেগুলো হয় গতবছরের হিমাগারের সংরক্ষিত ইলিশ নতুবা বার্মা থেকে আগত ইলিশ।

আর তাই, বার্মা থেকে আগত ইলিশ এবং হিমাগারে সংরক্ষিত ইলিশের কারণেই এবার নববর্ষেও ইলিশের দাম অনেকটা কম বলে মানছেন মাছ ব্যাবসায়ীরাও।

এদিকে, রূপালী ইলিশের পাশাপাশি দুই প্রকারের ইলিশ নকল রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। বাজারে নকল ইলিশের মধ্যে আছে ‘ধংসা’ ‘সার্ডিন’ ও 'চৌক্কা' নামের ইলিশসদৃশ্য একপ্রকার মাছ। যেগুলোর অনেকটা পানির দামে বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা নববর্ষ উপলক্ষে ইলিশ ক্রয়ে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য ক্রেতাদের উপদেশ দিয়েছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post