নতুন করে আলোকিত হচ্ছে ক্বিনব্রিজ

নতুন করে আলোকিত হচ্ছে ক্বিনব্রিজ
অনলাইন ডেস্কঃ ব্রিটিশ শাসনামলে, ১৯৩৬ সালে সুরমা পাড়ের দুই তীরের মানুষের যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হয় ক্বিনব্রিজ। কালের সাক্ষী হয়ে সেই ব্রিজ ঠিকে আছে এখনও স্বদম্ভে। সিলেট মহানগরীর অন্যতম প্রবেশ পথ বলা হয় এই ব্রিজকে। অপূর্ব নির্মাণশৈলীর কারণে মানুষের কাছে অন্যরকম এক আকর্ষণ নিয়ে নিজেকে প্রকাশ করে ক্বিনব্রিজ।

ঐতিহ্যের এই স্মারকের সৌন্দর্য রক্ষায় সিলেট সিটি করপোরেশন বিভিন্ন সময়ে নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। এবার নতুন করে নেওয়া হয়েছে আরেকটি উদ্যোগ। আশি বছর বয়সী ব্রিজের অন্ধকার দূর করে একে আলোকিত করতে চাচ্ছে সিটি করপোরেশন। এতে ব্যয় হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।

ক্বিনব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে ২০১৪ সালের এপ্রিলে দায়িত্ব নেয় একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর। কিন্তু ওই কোম্পানি দায়সারাভাবে আলোকসজ্জা করে ব্রিজের তাদের নিজস্ব দুটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়। কিছুদিন পর নামমাত্র আলোকসজ্জা নষ্ট হয়ে পড়ে। কিন্তু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ ছিল না ওই মোবাইল অপারেটর কোম্পানির। ২০১৫ সালের জুনে ওই কোম্পানির সাইনবোর্ড খুলে নেয় সিটি করপোরেশন। এরপর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও ক্বিনব্রিজের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ ছিল না। ধীরে ধীরে লাগানো আলোকবাতিগুলো নষ্ট হয়ে অন্ধকার গ্রাস করতে থাকে ক্বিনব্রিজকে।

তবে এবার নতুন করে ক্বিনব্রিজকে আলোকিত করতে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। এজন্য লাগানো হচ্ছে আধুনিক আলোকবাতি। সবমিলিয়ে ব্রিজের উভয়পাশে ৫৬টি এলইডি বাতি লাগানো হচ্ছে। ৫০ ওয়াটের এই বাতিগুলো আলোকিত করতে ক্বিনব্রিজকে। এ ধরনের বাতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় লাগানো হয়েছে।

সিসিক সূত্র জানায়, ক্বিনব্রিজকে আলোকিত করতে এর উভয়পাশে নতুন করে ২০টি পুল বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্রিজে এখন ৫৬টি পুল রয়েছে।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, ক্বিনব্রিজকে আলোকিত করতে নতুন করে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। লাগানো হচ্ছে ৫৬টি আধুনিক এলইডি বাতি। এ বাতিগুলো বৃষ্টিতেও নষ্ট হবে না। তাছাড়া এক বছরের ওয়ারেন্টিও রয়েছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।

আগামী সোমবার নাগাদ এই কাজ শেষ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন এনামুল হাবীব।

Post a Comment

Previous Post Next Post