হিফজুর রহমান তুহিনঃ
সু-প্রাচীন কাল হতে তেঁতুল গাছের জন্ম,তেঁতুল একটি জনপ্রিয় ভেষজ ফল তেঁতুল একটি বৃহৎ সু-দৃশ্য চীর সবুজ বৃক্ষ প্রচুর শাখা প্রশাখা ও ক্ষুদ্র ঘন পাতা বিশিষ্ট। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক পুরনো তেঁতুল গাছ পাওয়া যায় তেমনি পুরনো গাছের নাম মিলিয়ে সেখানকার জায়গার নামটা তেঁতুল তলা হয়ে যায়। টিক তেমনি এলাকার মানুষের দূর দূরান্তে কাছে হয়ে যায় যুগ যুগ ধরে পরিচিত স্থান,তেমন একটি গাছ পাওয়া যায় মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনঊষার ইউনিয়ের ৪ নংওয়ার্ডে রসিদ পুর বলরাম পুর সহ চারটি রাস্তার মধ্যে বর্তী স্থানে অবস্থিত।ঐতিহ্যবাহী প্রচীনতম একটি তেঁতল গাছ। গাছটি কে কয়েকটি এলাকার নিশান হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, আজও গাছটি সুস্থ সবল ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাছটিতে প্রতি বছরই ফল ধরার মৌসুমে নিয়মিত ফল ধরে গাছটি উচ্চতা ২০-২৫ মিটার, কান্ডের বেড় ৭-৮মিটার, তথ্য সূত্রে কন্ঠই বেগম (১২২)বলেন গাছটির বয়স ৪০০ বছরের বোশি। গাছটির বৃদ্ধির ধীর কান্ড খুবই শক্ত। গাছের পাতাগুলো যেন চিরনির মতো সাজানো। দৃষ্টি নন্দন গাছটির প্রকৃতি পরিবেশ শোভা বর্ধনে পাশা পাশি অত্র এলাকার মানুষের কাছে দীর্ঘ দিনের পুরাতন স্মৃতিমহল। পতনউষার শ্রীরাম পুর তারাপাশা কঠারকোনা মরিচাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ যখন মুন্সিবাজার আসার পথে তখন প্রচন্ড রৌদ্রে কর্ম কান্ত শ্রমিক সহ নানান পেশার মানুষ গাছের ছায়ায় জন্য একটু সময়ের জন্য গাছের নিছে বসে বিশ্রাম নিতেন। এলাকার প্রবীন মুরব্বি আব্দুল মজিদ(৮০)কন্ঠই বেগম(১২২) নুরুল ইসলাম কানাডা প্রবাশী (৪৪), সায়েক আহমদ ইউ/পি সদস্য(৩১)জানান এই গাছের নিচে বসে এক সময় সালিশ বিচার করা হত তখনকার সময়ে বাদউল্লা কঠু জমাদার, মুন্সীছিকন্দর আলী জমাদার, এ সময়ের ২৮ শের বিচার করা হত। সেই সময়ে ভারত,উরিষ্যা বিহার হতে অনেক সুধীজন আমন্ত্রণে বিচারে আসতেন যা আজ এই এলাকার মানুষের জন্য ইতিহাস। সাবেক প্রয়াত চেয়ারম্যান মরহুম জহিরউদ্দিন সাহেব, মোওঃ ইসমাইল আলী সাহেব মনিরুল ইসলাম (জমাদার) প্রয়াত আব্দুল আজিজ মাষ্টার,বিচারক আব্দুন নুর মাষ্টার চৌঃ,প্রয়াত সিদ্দেক আলীসহ আর এলাকার প্রবীন মুরব্বীরা বিভিন্ন জটিল বিষয়ের নিয়ে গাছে নিচে বসেই বিচার করতেন। এটি এলাকার বিচারের স্থান হিসাবে ব্যবহার হত।গাছের নাম অনুসারে এখানে একটি বাজার ছিল, যেটি তেতুল তলা বাজার নামে পরিচিত চিল। আজও গাছটি বছরের পর বছর বিভিন্ন প্রতিকুলতা সহ্য করে বেচে আছে।