হোসাইন আহমদঃ মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলার ২৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। এ ছাড়া এসব উপজেলায় ৪০২টি সহকারী শিক্ষকরে পদও শূন্য রয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত ওই বিদ্যালয়ে পদগুলো শূন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনি কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ফলাফলের দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়েছে ওই প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অন্যান্য জেলার চেয়ে তুলনা মূলক ভালো ফলাফল করতে পারেনি মৌলভীবাজার জেলা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিবাবক। তারা বলেন, নিয়মীত পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা। কার্যকরি পদক্ষেপের মাধ্যমে এটার সমাধান না করলে আগামী দিনেও ভালো ফলাফল করতে পারবেনা শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১০১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০টি, রাজনগরে ৩৮টি, কুলাউড়ায় ৪৯টি, কমলগঞ্জে ৪৪টি, শ্রীমঙ্গলে ১৯টি, জুড়ীতে ২৪টি ও বড়লেখায় ৪১টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যার ফলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে ওই সব প্রতিষ্টানের প্রশাসনিক কার্যক্রম। শিক্ষক সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল গুলো। প্রতিনিয়ত পাঠদানে চলছে ব্যয়াগাত। অনেক স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘ দিনের সরকারি প্রশিক্ষণে থাকায় সেই সংকট আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও প্রতিবা বিকাশের উপযুক্ত স্থান প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে তাদেরকে যে ভাবে গড়ে তুলা হবে আগামীতে সেভাবেই দেশ পরিচালনা করবে তারা। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীদের তুলনায় মেধা ও ফলাফলে দিক দিয়ে অনেক গুণ পিছিয়ে রয়েছে বৃহত্তর মৌলভীবাজার জেলা।
প্রধান শিক্ষক নেই এমন কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিবাবকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সংকটে ভেঙ্গে পড়েছে স্কুলের পাঠদান। পাঠ্য পুস্তকে ৬টি বিষয় থাকলেও শিক্ষক সংকটে নিয়মীত প্রতিটি বিষয় পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্টানে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েও ঠিক মতো শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারছে না ওই সব প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সে গুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া নিয়োগ দেয়া হবে।