পাওয়া গেল ভিনগ্রহীদের জাহাজ !

অ্যান্টার্কটিকায় পাওয়া গেল ভিনগ্রহীদের জাহাজ!
অনলাইন ডেস্কঃ সুদূর অ্যান্টার্কটিকার বরফ সাম্রাজ্যও নজর এড়িয়ে যায়নি ভিনগ্রহীদের? সেখানেও কি কোনও সুদূরতম অতীতে কোন ‘সভ্যতা’ গড়ে তুলেছিল ভিনগ্রহীরা? সেখানেও ছিল ‘পিরামিড’?

গুগল আর্থ স্যাটেলাইট ইমেজের তোলা ছবি দেখিয়ে এমনটাই দাবি করলেন একদল বিজ্ঞানী। এবং ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’রা। তাদের দলটির নাম ‘সিকিওর টিম’। তাদের আরও একটি দল রয়েছে। যাদের নাম ‘ইউএফও অ্যান্ড কনস্পিরেসি থিয়োরি ফোরাম’।

তাদের দাবি, অ্যান্টার্কটিকার বরফ সাম্রাজ্যের গভীরতর স্তরে ‘ভিনগ্রহীদের জাহাজ’ এরও খোঁজ মিলেছে। হদিশ মিলেছে, কোনও মন্দির বা কোনও অট্টালিকার সিঁড়ির ধাপেরও (স্টেয়ারকেস)। গুগল আর্থ স্যাটেলাইট ইমেজের তোলা ছবি দেখিয়ে তাদের দাবি, এক সময় অ্যান্টার্কটিকার ওই বরফ সাম্রাজ্যে ‘নগর সভ্যতা ছিল ভিনগ্রহীদের’! সেই সব ছবির ভিডিও তারা ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়েছেন সম্প্রতি।

যারা ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন আর ভিনগ্রহীদের ‘হদিশ পেয়েও’ নাসা ও ইউরোপিয়ান এজেন্সির মতো মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি ‘সব কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে’ বলে বহু দিন ধরেই বলে আসছেন, তাদেরই বলা হয় ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’।

সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশ করা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ'র ‘কনফিডেনশিয়াল ফাইল’ এও ভিনগ্রহীদের ‘মহাকাশযান’ ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ (ইউএফও) বা ‘উড়ন্ত চাকি’ নিয়ে প্রচুর উল্লেখের প্রমাণ মিলেছে। সে সম্পর্কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তির ‘গোপন মতামত’ও গত দু’ চার দিনে সবার সামনে এসেছে।
গুগল ইমেজে সেই ডিমের মতো এলাকা যেখানে অ্যান্টার্কটিকায় প্রাচীন সভ্যতা ছিল বলে একদল বিজ্ঞানীর দাবি।

টেলিফোনে এবং ইমেলে যোগাযোগ করা হয়েছিল অন্যতম ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’ জেমস জেসনের সঙ্গে। ওহায়োর ক্লিভল্যান্ড থেকে টেলিফোনে জেসন বলেছেন, ‘‘গুগল আর্থ ইমেজের ছবি থেকে স্পষ্টই দেখা গেছে একটি ভিনগ্রহীদের জাহাজ, যা রয়েছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ-সাম্রাজ্যের পুরু বরফ-স্তরের অন্দরে। দেখা গেছে, সেখানে রয়েছে একটি অত্যন্ত প্রাচীন কোনও সভ্যতায় গড়ে ওঠা একটি সুবিশাল পিরামিড। রয়েছে নগর-সভ্যতার আরও নানা প্রমাণ। অট্টালিকা বা কোনও মন্দিরের সিঁড়ির ধাপ।

ভিনগ্রহীদের সেই সভ্যতা ছিল অনেক অনেক বেশি উন্নত, প্রযুক্তি-প্রকৌশলের নিরিখে। তবে তাদের প্রযুক্তি কতটা উন্নত ছিল, সম্ভবত তার সবচেয়ে সেরা প্রমাণ, ভিনগ্রহীদের ওই জাহাজটি। সেখানে আমরা বরফে চাপা পড়ে যাওয়া একটি গুহারও হদিশ পেয়েছি। পেয়েছি বিশাল একটি বৃত্তাকার এলাকার ছবি। যা এক সময় কোনও প্রাচীন কিন্তু আধুনিকতম সভ্যতার ধাত্রীভূমি ছিল বলেই আমাদের বিশ্বাস। সেখানেই মিলেছে ডিমের মতো ৪০০ ফুট বা ১২১ মিটার (ব্যাস) মাপের একটি এলাকা। এই এলাকাটিকেই অ্যান্টার্কটিকায় ভিনগ্রহীদের এক সময়ের আস্তানা বলে মনে করা হচ্ছে। ওই জায়গাটিই প্রমাণ করছে দক্ষিণ মেরুর বরফ সাম্রাজ্যেও এক সময় প্রযুক্তি প্রকৌশলের নিরিখে কোনও আধুনিকতম সভ্যতার জন্ম হয়েছিল। অ্যান্টার্কটিকার যে ভৌগোলিক অবস্থানটা আমরা এখন দেখছি, তখন অবশ্য তা মোটেই ছিল না। ’’

সূত্র: আনন্দবাজার

Post a Comment

Previous Post Next Post