অনলাইন ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সবচেয়ে বড় আর উজ্জ্বলতম চাঁদের (এক্সট্রা সুপার মুন) দেখা মিলবে ১৪ নভেম্বর। সোমবার রাতের আকাশে দেখা যাবে এ চাঁদ। এ দিন পৃথিবীর খুব কাছে আসবে চাঁদ।
সূর্য ও পৃথিবীর পারস্পরিক অবস্থান এবং বিচিত্র কক্ষপথে চাঁদের চলাচলের কারণে এ চাঁদ বড় দেখা যাবে। ৬৮ বছর পর এত বড় আর উজ্জ্বল চাঁদের দেখা মিলবে।
জানা গেছে, ১৯৪৮ সালের পর এত বড় আর এতটা উজ্জ্বল চাঁদ আর দেখা যায়নি আকাশে। পূর্ণিমার চাঁদ যতটা বড় দেখায় তার চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি বড় দেখাবে এবারের সুপার মুনটিকে। আর তার উজ্জ্বলতা হবে সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। ১৪ নভেম্বর সুপার মুনটিকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখতে পারবেন উত্তর আমেরিকার মানুষ।
২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর আবার একটি সুপার মুন হবে। কিন্তু তখনও চাঁদ এবারের মতো অতটা কাছে আসবে না পৃথিবীর। নভেম্বরের এ পূর্ণিমাকে আমেরিকায় 'বিভার মুন'ও বলা হয়। কারণ, অনেক দিন আগে শীতে পশুর লোম দিয়ে গরম পোশাক বানানোর জন্য এই পূর্ণিমাতেই শিকারিরা ফাঁদ পাততেন পশু শিকারের জন্য।
তবে ১৪ নভেম্বরের সুপার মুনটি হবে সবচেয়ে বড়। প্রাচীন ধারণামতে, এ সুপার মুন শুধু পূর্ণিমা হলেই হয়। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। পূর্ণিমার সময় চাঁদকে তার চলাচলের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সবচেয়ে কাছে আসতে হয়। আর গাণিতিক কারণেই তা প্রতি পূর্ণিমায় সম্ভব হয় না। প্রতিবছর সম্ভব হয় না। প্রতিটি দশকেও সম্ভব হয় না। কক্ষপথে ঘুরে আসতে চাঁদের এই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসার দূরত্বটিকে বলা হয় 'পেরিজি'।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় লুনার স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ''আগে জানা দরকার কখন পূর্ণিমা হয়? যখন চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যে একটি সরলরেখা টানলে দেখা যায় চাঁদটা পৃথিবীর যেদিকে রয়েছে, সূর্যটা রয়েছে ঠিক তার উল্টো দিকে, তখনই হয় পূর্ণিমা।''
দুই দিকের অভিকর্ষের টানাটানিতে তাই পূর্ণিমায় পৃথিবীর জলস্তরের ওঠা-নামা হয় সবচেয়ে বেশি। যাকে আমরা জোয়ার-ভাটা বলি। আর ওই পূর্ণিমাতেই যখন পৃথিবীর একদিকে থাকা চাঁদটি তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সবচেয়ে কাছে চলে আসে আমাদের এ বাসযোগ্য গ্রহের (পেরিজি), তখনই হয় সুপার মুন।