বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফুটবলারদের রিয়াল-বার্সার সমবেদনা

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফুটবলারদের রিয়াল-বার্সার সমবেদনা
স্পোর্টস ডেস্কঃ ভয়াবহ ট্র্যাজেডিই ঘটে গেলো ফুটবল দুনিয়ায়। যে ক্লাবটির উচ্ছ্বল ফুটবলাররা যাচ্ছিল একটি স্বপ্নের ফাইনাল খেলতে, তারাই কি-না আকাশপথে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হলেন। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব শ্যাপেকোয়েন্সের ১৯ ফুটবলার নজিরবিহীন এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। জীবিত ফিরেছেন তিনজন। মর্মান্তিক এই ঘটনা পুরো ফুটবল বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো থেকে শুরু করে পুরো ফুটবলবিশ্বই। শ্যাপেকোয়েন্সের ফুটবলারদের সমবেদনা জানিয়েছে ইউরোপের দুই শীর্ষ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার ফুটবলাররাও।

লাতিন আমেরিকার অন্যতম সেরা ক্লাব পর্যায়ের টুর্নামেন্ট কোপা সুদামেরিকানা ফাইনালের প্রথম পর্বে খেলার জন্য সাওপাওলো থেকে কলম্বিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন চ্যাপেকোয়েন্সের ফুটবলাররা। পথে বলিভিয়ায় যাত্রাবিরতি দিয়েছিল বিমানটি। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু করে কলম্বিয়ার উদ্দেশে। লক্ষ্য মেডেলিন যাওয়া। তার আগেই এক পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয় বিমানটি। বিমানের ৮১ জন যাত্রীর মধ্যে নিহত হয়েছেন ৭৬ জনই। অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচেছেন পাঁচজন। উদ্ধার হওয়া ৬ জনের একজন হাসপাতালে মারা যান।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোক জানিয়ে ফিফার সভাপতি ইনফান্তিতো বলেছেন, ‘এটা ফুটবলের জন্য খুবই শোকাচ্ছন্ন একটা দিন। এই কঠিন সময়ে আমরা এই দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও বন্ধুদের পাশে আছি। ফিফার পক্ষ থেকে শ্যাপেকোয়েন্সের সমর্থকদের জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’

ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ওয়েবসাইটে শোক প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্রাজিলিয়ান ক্লাব শ্যাপেকোয়েন্সের জন্য গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছে রিয়াল মাদ্রিদ। নিহতদের বন্ধু ও পরিবারের প্রতিও জানাচ্ছে সমবেদনা। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

দলটির অধিনায়ক সার্জিও রামোস টুইটারে লিখেছেন, ‘ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডির শিকার প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা সত্যিই হতবাক হয়ে গেছি।’

একই ধরনের বার্তা দিয়ে শ্যাপেকোয়েন্সের পাশে দাঁড়িয়েছে স্পেনের আরেক শীর্ষ ক্লাব বার্সেলোনাও। এক টুইটার বার্তায় তারা বলেছে, ‘কলম্বিয়ায় শ্যাপেকোয়েন্স ট্র্যাজেডির শিকার প্রত্যেকের পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমর্থন ও সংহতি।’

১৯৫৮ সালে ঠিক একই রকম বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। সেসময় ম্যানইউ হারিয়েছিল তাদের আটজন তারকা ফুটবলার। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব শ্যাপেকোয়েন্সের এই ট্র্যাজেডির পর তারাও জানিয়েছে সমবেদনা।

Post a Comment

Previous Post Next Post