বিনোদন ডেস্কঃ ভেঙে গেল ক্লোজআপ তারকা লালন কন্যা নামে পরিচিত সালমা ও জাতীয় সংসদের দিনাজপুর-৬ আসনের সাংসদ শিবলী সাদিকের সংসার। ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই সমঝোতার ভিত্তিতে তালাকনামায় সই করেন দুজন। এই সইয়ের ফলেই প্রায় ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটে তাঁদের। এ সময় বিয়ের দেনমোহর বাবদ ২০ লাখ টাকা সালমাকে বুঝিয়ে দেন শিবলী। সালমা নিজেই জানিয়েছেন এসব তথ্য। জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছিল। এ বছরের শুরুর দিকে এসে মনোমালিন্য চরমে পৌঁছায়। সেই জের ধরে প্রায় ছয় মাস আগেই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে সালমা মা-বাবার মোহাম্মদপুরের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন তিনি।কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, জানতে চাইলে সালমা বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই গান ও লেখাপড়া বন্ধ করার জন্য তাঁর স্বামীর দিক থেকে চাপ ছিল। এমনকি বাবা, মা, ভাই ও মামার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে বারবার।’এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘বিয়ের পর প্রায় চার বছর নিয়মিত গান করিনি। সংসারের জন্য সবকিছুই বিসর্জন দিয়েছি আমি। মুখ বুঝে অনেক কিছুই মেনে নিয়েছিলাম তারপরও শেষ রক্ষা হলো না।’ দুজনের চূড়ান্ত বিচ্ছেদের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী শিবলী সাদিক। তবে সালমার অভিযোগের বিষয়ে একমত নন তিনি। মুঠোফোনে শিবলী সাদিক বলেন, ‘আমিই ওকে পড়ালেখার জন্য ভর্তি করিয়েছিলাম। তাহলে কেন আমি বন্ধ করতে যাব। বিয়ের পর থেকে ওর বাবা, মা মাসের প্রায় ২৫ দিনই আমার বাসায় থেকেছেন। এর বেশি আর কিছুই বলতে চাই না।’ সালমার বিরুদ্ধে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই বলে জানান এই সাংসদ। তাঁর কথা, ‘দুজনের একসঙ্গে থাকতে সমস্যা হচ্ছিল। আলাপ-আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তা ছাড়া শিল্পী মানুষ একটু স্বাধীন থাকতে চায়। থাকুক।’
২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সালমা ও শিবলী সাদিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্নেহা নামে তাঁদের ঘরে সাড়ে চার বছরের কন্যা সন্তান আছে। বর্তমানে মেয়ে বাবার কাছে রয়েছে।