এম. এ. কাইয়ুম: জেলার
কুলাউড়ায় সরকারি বরাদ্দকৃত একটি রাস্তা পাকা করণের কাজ সম্পন্ন না করে
কয়েকটি পরিবারের ব্যক্তি স্বার্থে ভিন্ন রাস্তায় বাইপাস করে কাজ শুরু
করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এমন অভিযোগ খোদ স্থানীয় জনসাধারণের।
এর
সুরাহা চেয়ে স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী
কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও এর কোনো সমাধান
পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
অভিযোগ
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের নন্দীরগ্রামের গিয়াস উদ্দিন
মাষ্টারের বাড়ি হতে হযরত দরিয়া শাহ্ মাজার প্রাঙ্গন হয়ে নন্দীরগ্রাম
চৌমুহনা থেকে গোজার ঘাট পর্যন্ত রাস্তা পাকা করণের দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের।
পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে সাংসদ আব্দুল মতিনের
সহযোগীতায় সরকারি সকল প্রক্রিয়া শেষে ১.১৭০ কি:মি: বরাদ্দ চুড়ান্ত হয়।
কিন্তু
বরাদ্দকৃত রাস্তার কাজ সম্পন্ন না করে ৪/৫ পরিবারের ব্যক্তি স্বার্থে
ভিন্ন রাস্তায় বাইপাস করে বরাদ্দকৃত দরিয়া শাহ্ মাজার প্রাঙ্গন থেকে
গোজারগাট না নিয়ে কাজি রফিক মিয়ার বাড়ির সম্মুখ হয়ে রাজনগরের মোকাম পর্যন্ত
রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী বাদশা মিয়া। যা
সম্পূর্ণ বিধিবর্হিভূত বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সুশীলরা। এর প্রতিকার
চেয়ে স্থানীয়রা ইতিমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া
হয়েছে।
জানতে চাইলে বাদশা মিয়া বলেন, এমপি’র পরামর্শে আমি রাস্তা বাইপাস করেছি।
এ
নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, ওই রাস্তা বাইপাসকরণে আমার
কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ হবে। এর বাইরে কিছু হবে না। অন্য
একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।