স্টাফ রিপোর্টারঃ বিয়ে
করতে সরাইল যাবার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগর উপজেলার শশই নামক এলাকায়
এনা পরিবহনের সাথে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বর, বরের বাবা ও
ভাইসহ ৮ জন মারা গেছেন।
আশঙ্কাজনকভাবে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো চারজন। মৃত্যুর সংবাদ শুনে কমলগঞ্জ
উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রূপসপুর গ্রামে চলছে শোকের মাতম।
শুক্রবারসকাল ১০টার দিকে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা
যায়, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর গ্রামের সরফর মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ানকে
বিয়ে করাতে বরযাত্রী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস
নিয়ে রওয়ানা হন। সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার শশই
এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা এনা পরিবহন বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসকে আঘাত
করে দুমড়ে মুছড়ে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়। পরে
ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। নিহতরা হলেন বর আবু
সুফিয়ান (২৫), বরের বাবা সরফর মিয়া (৬২), ভাই মুর্শেদ (২৫), ফয়ছল (২৫), একই
গ্রামের হাজী আব্দুল হান্নান (৬৫), হাবিবুল (২২), আলী হোসেন (২৫) ও
মুক্তার মিয়া (৪২)। আশঙ্কাজনকভাবে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আরও চারজন
চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মৃত্যুর
সংবাদ শুনার পর থেকেই বিয়ে বাড়িতে শুরু হয় কান্নার রুল। রুপসপুর গ্রাম
জোড়ে চলছে শোকের মাতম। বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনা ও আটজনের মৃত্যুর সত্যতা
নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ এখন ব্রাহ্মনবাড়িয়া হাইওয়ে থানার অধীনে
রয়েছে। নিহতদের স্বজনরা সেখান থেকে মরদেহ গ্রহনের জন্য তাদের গ্রামের
বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।
নিহত
হাজী আব্দুল হান্নানের স্বজন ওয়ার্কার্স পার্টি মৌলভীবাজার জেলার সাধারন
সম্পাদক আব্দুল আহমদ মিনার ও রুপসপুর গ্রামের মোজাহিদ আলী ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত করে বলেন, এখন এ গ্রামে শুধু কান্না ছাড়া আর কিছুই নেই। দুর্ঘটনায়
কয়েকটি পরিবার ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে।
মোজাহিদ মিয়া আরো জানান, স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। রাত সাড়ে ১০ টায় তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।