অনলাইন ডেস্কঃ
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড
হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১
বছর।
এর
আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর শরীরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সৈয়দ শামসুল হক।
চার মাস আগে লন্ডনে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে।
সেখানে ক্যান্সারের চিকিৎসায় তাকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়।
কিন্তু লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে চিকিৎসায় উন্নতি না হাওয়ায়
জীবনের বাকি দিনগুলো দেশে কাটানোর জন্য দেশে ফিরে আসেন তিনি।
১৯৩৫
সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্ম সৈয়দ শামসুল হকের। কবিতা, ছোটগল্প,
উপন্যাস, কাব্যনাট্যসহ সাহিত্যের সব শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে
'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়। ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমী
পুরস্কার পান সৈয়দ শামসুল হক। এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া
সর্বকনিষ্ঠ লেখক তিনি।
১৯৫০-এর
দশকেই প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’। পরে ‘খেলারাম খেলে
যা’, ‘নিষিদ্ধ লোবান’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘নীল দংশন’, ‘বারো দিনের জীবন’,
‘তুমি সেই তরবারী’, ‘কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন’, ‘নির্বাসিতা’র মতো
বিখ্যাত উপন্যাস উপহার দিয়েছেন। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে
‘একদা এক রাজ্যে’, ‘বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা’, ‘পরানের গহীন ভিতর’, ‘অপর
পুরুষ’, ‘অগ্নি ও জলের কবিতা’। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘নুরলদীনের সারা
জীবন’ সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।